শ্যামনগরে কৃষকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা:১৫জনসহ অজ্ঞাতনামা ৮ জনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

রঘুনাথ খাঁ:

চিংড়ি ঘের নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামে কৃষকলীগ নেতা আবুল কাশেমকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে মুছা গাজীকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞা তনামা ৮ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে এ মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে আবুল কাশেমের লাশের ময়না তদন্ত শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

মামলার বিবরনে জানা যায়, খোলপেটুয়া গ্রামের চিংড়ি ঘেরের ২৫ বিঘা জমি নিয়ে ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম ও ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমানগাজীদের বিরোধ চলে আসছিল। বৃহষ্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি ও তার স্বামী আবুল কাশেম বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ঘেরে পাতা আটল থেকে মাছ ঝাড়তে যান। রাত ১২টার দিকে তারা আটল ঝাড়ার জন্য নৌকায় উঠলে লোকমান, মুছা, শোকর আলী, আবু সাঈদ, আনিসুর, সালাউদ্দিন, সেকেন্দার, সুমনসহ ২০/২২ জন তাকে (ফিরোজা) ঘেরের মধ্যে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ডিঙি নৌকার মধ্যে হাত, পা, চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। পরে তার স্বামীকে নৌকা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ঘেরের পানিতে পুঁতে ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে নিহতের ভাই জাভিদ হাসান, স্ত্রী রেবেকা খাতুৃন, তাদের ছেলে আবু তালেব, নিহতের ছেলে ছেলে আবু হুরাইরা ঘটনাস্থলে যেয়ে নৌকা থেকে ফিরোজার বা্ধঁন খুলে দেয়। পরে ঘেরের পানির মধ্যে কাশেমকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তারা।

নিহতের ভাই জাভিদ হাসান জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে ভাই আবুল কাশেমের লাশ দাফন করা হয়েছে। দুই দিনেও কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় বাদি সহ পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সরল বিশ্বাস জানান, আবুল কাশেম হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে খোলপেটুয়া গ্রামের আফছার গাজীর ছেলে মুছা গাজীকে প্রধান আসামী করে ১৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা৭/৮জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকায় আসামীদের বাড়ি হওয়ায় তারা বনের ভিতরেই আত্মগোপন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।#

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)