মতিউর ও তার পরিবারের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ
ডেস্ক নিউজ:
ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ জমি জব্দের (ক্রোক) আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানান। দুদকের পক্ষে এ আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ওভারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালতকর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
সেজন্য অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের ও মামলা তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালতকর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।
সম্প্রতি কোরবানির জন্য রাজধানী সাদেক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন সাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত। তবে শুরুতে মতিউর রহমান ইফাতকে ছেলে হিসেবে পরিচয় দেননি। পরে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, ইফাত তাঁর মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।
এই ঘটনার পর তাঁকে এনবিআরের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়।