সাতক্ষীরার রথখোলা কালীমন্দিরের অস্তিত্ব হুমকির মুখে
রঘুনাথ খাঁঃ ৭০ বছরের বেশি পুরাতন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা রথখোলা সার্বজনীন কালীমন্দিরের অস্তিÍত্ব হুমকির মধ্যে পড়েছে। সাত শতক দেবত্ব সম্পত্তির উপর নির্মতি মন্দির থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ১০ বছর আগে বাঁশদহা বলফিল্ড জামে মসজিদে যাওয়ার জন্য পরিবর্তিত রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।বাঁশদহা ইউনিয়নের কুলিয়াডাঙা গ্রামের দীলিপ বিশ্বাস জানান, জমিদারি প্রথা বিলোপ হওয়ার সাথে সাথে জমিদার রাজেন্দ্র নারায়ন চৌধুরী তাদের অঢেল সম্পদ ও জমি ফেলে রেখে ভারতে চলে যান। তাদের বাড়ি থেকে রথখোলা কালীমন্দিরের সামনে রাস্তায় ওঠার জন্য একটি রাস্তা ছিল। রাস্তার পাশে মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের জন্য একটি পুকুরও ছিলো। বর্তমানে মন্দিরের পিছনে কিছু জমি শওকত আলীর বন্দোবস্ত নেওয়া পুকুরে ভেঙে গেছে। জমিদার ও তাদের পরিবার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ওই রাস্তা আর ব্যবহার হতো না। এমনকি তাদের অধিকাংশ জমি সরকারিভাবে খাস হয়ে গেলেও অনেকে জবরদখল করে রাখে। ২০১৩ সালে রথখোলা কালিমন্দির থেকে ২০০ হাত উত্তর পূর্ব কোনে বাঁশদহা বলফিল্ড জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। বলফিল্ডের পশ্চিম পাশ দিয়ে মুসল্লিরা মসজিদে যাতায়াত করতেন। দুই বছর আগে ইউপি চিয়ারম্যান মন্দিরের পূণ্যার্থীতের বসার জন্য রাস্তার পাশে একটি পাকা বেদী বানিয়ে দেন। এক সপ্তাহ আগে মঙ্গলবার সকালে কালীমন্দিরের পূর্ব পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করলে তারা বাধা দেন। একপর্যায়ে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরপরই আবারো পুকুরের পশ্চিম পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু করলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য থানায় খবর দেন। বন্ধ হয়ে যায় কাজ ততক্ষণে রাস্তার কাজ ১৪ আনা শেষ হয়ে গেছে। তবে থানা থেকে আসা উপপরিদর্শক অভিজিৎ উভয়পক্ষে মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের সূযোগ দিয়ে ভাগাভাগি করে মাছ ছেড়ে বিক্রি করার পরামর্শ দেন। এরপরও মন্দির কমিটির নিয়ন্ত্রণে থাকা পুকুরটি আর তারা ফিরে পাবেন বলে মনে করছেন না। প্রতিমা বিসর্জন না দিতে পারলে কোন এক সময় পূজা বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন।