রাজকুমারী ডায়ানার জন্মদিন আজ
আন্তজার্তিক ডেস্ক:মোহনীয় রূপ, ভুবনভোলানো হাসি আর মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা উজাড় করে যিনি বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষের নজর কেড়েছিলেন, তিনি প্রিন্সেস ডায়ানা। আজ তার ৬৩তম জন্মদিন। তিনি কখনোই ব্রিটেনের রাজপরিবারের রানি হতে চাননি, চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের হৃদয়ের রানি হতে। সেটাই হয়েছে। আজও প্রিয়মুখ হয়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে রেখেছেন প্রিন্সেস ডায়ানা। এখনো এই নামটি শুনলে হাস্যোজ্জ্বল এক প্রিয়দর্শিনীর মুখ ভেসে ওঠে।১৯৮১ সালে ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম এই সেলিব্রেটি।পরবর্তীতে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তায় স্বামীকেও ছাড়িয়ে যান তিনি। ডায়ানার রাজকীয় নিয়ম বহির্ভূত স্বাধীনচেতা মনোভাব, বিবাহ বিচ্ছেদ ও প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে বিভিন্ন সময় তার নাম উঠে আসে বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনামে। কিন্তু তার জনপ্রিয়তায় যে এতোটুকু ভাটা পড়েনি তার প্রমাণ মিলেছিলো মৃত্যুর পর বিশ্বের লক্ষ্য মানুষের সমাগমে।১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান এই ব্রিটিশ রাজবধূ। ডায়ানার সাবেক স্বামী প্রিন্স চার্লস বর্তমানে রাজা তৃতীয় চার্লস উপাধি নিয়ে ব্রিটিশ রাজসিংহাসনে আসীন।১৯৬১ সালের পহেলা জুলাই ইংল্যান্ডের নরফোর্কে এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন স্বাধীনচেতা স্বভাবের এই মেয়েটি। ডায়নার নান্দনিক সৌন্দর্য্য ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব চোখ এড়ায়নি ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স চার্লসের। ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই এক রাজকীয় আনুষ্ঠানিকতায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই নান্দনিক জুটি। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ওই বিয়ের অনুষ্ঠান দেখেছিলো বিশ্বের প্রায় ৭৫ কোটি মানুষ।তাদের দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারি ব্রিটিশ মসনদের উত্তরাধিকারী হলেও দু’জনকে অন্যান্য শিশুদের মতো সাধারণ জীবনে যাপনে অভ্যস্ত করার পক্ষে ছিলেন ডায়না। রাজকীয় নিয়ম বহির্ভূত তার এমন অনেক কাজের কারণেই রাণী এলিজাবেথের রোষানলের মুখে পড়েন তিনি। কিন্তু প্রাসাদের গণ্ডি পেরিয়ে মাঝেই মাঝেই ছেলেদের নিয়ে অবকাশ কাটাকে দূরে কোথাও বেড়িয়ে পড়তেন এই মা।মিষ্টি হাসি আর সমাজসেবামূলক কাজের কারণে বিশ্বময় সবার কাছে অভাবনীয় গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন ডায়না। ল্যান্ডমাইনবিরোধী প্রচারণা, এইডস বিষয়ক সচেতনতাসহ বিভিন্ন মানবিক ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিশ্বের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোও ভ্রমণ করেন তিনি।
এভাবে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তায় রাজ পরিবারের সব সদস্যকে ছাড়িয়ে যায় তার নাম। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম এই সেলিব্রেটি ফ্যাশনের জগতেও পান আকাশচুম্বী খ্যাতি। তাকে বলা হতো বিশ্বের সর্বাধিক আলোকচিত্রিত নারী।চার্লসের বিশ্বাসঘাতকতা, রাজপরিবারের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের কারণে ১৯৯৬ সালে ২৮ আগস্ট চার্লসের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ডায়ানার। এরপর রানী এলিজাবেথ তার প্রিন্সেস উপাধি কেড়ে নেন। তখন থেকে ডায়না গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যেতে চাইলেও ক্যামেরার ফ্ল্যাশ তার পিছু ছাড়েনি।