দেবহাটায় সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা, লুট হওয়া বন্দুক উদ্ধার

রঘুনাথ খাঁ:
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষ ও তার পরিবারের সদস্যদের হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে দেবহাটা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তবে লুট হওয়া বন্দুকটি শনিবার সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত দুটোর দিকে দেবহাটা থানার জগন্নাথপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষের বাড়ির প্রধান ফটক ও কোলাবসিগ্যাল ফটকের তালা কেটে ৬/৭ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাতদল ওই বাড়িতে ঢোকে। তারা পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের হাত, মুখ ও চোখ বোঁধে নগদ ৮ ভরি সোনার গহনা, ৫ লক্ষাধিক টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, একটি লাইসেন্সকৃত বন্দুক ও একটি মটর সাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সুভাষ ঘোষ বাদি হয়ে শুক্রবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

সুভাষ ঘোষ জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার বাড়ির প্রাচীরের ভিতরের ধানের গোলার পাশ থেকে ডাকাত দলের সদস্যদের লুট করা বেলজিয়ামের দোনালা বন্দুকটি পাওয়া গেছে।

তিনি আরো জানান, শুক্রবার সকাল থেকে অধিক রাত পর্যন্ত পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা তাদের বাড়িতে অবস্থান করেছেন। এমনকি তাদের বাড়িকে ঘিরে রাতভর আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার লোকজনের কড়া নজরদারি ছিল। এরই মধ্যে কিভাবে বন্দুক ডাকাত দলের সদস্যরা রেখে গেলো তা তার বোধগম্য নয়।

দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ওরফে সাহেব আলী জানান, শুক্রবার ভোর সোয়া চারটার দিকে ডাকাত দলের সদস্যরা লুটকৃত মালামাল নিয়ে চলে যায়। নামাজের সময় হয়ে আসায় তাদের গাজীরহাট মেইন রোড দিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই তারা বিলের দিক দিয়ে চলে গেছে বলে তিনি মনে করেন। তবে খলিষাখালির বিস্তীর্ণ সরকারি জমি জবরদখল করে মাছ চাষের সুবিধার্থে বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসী লালন করে চলেেেছন। এ কারণে এলাকায় আতঙ্ক বাড়ছে। ঘটছে সুভাষ ঘোষের বাড়িতে ডাকাতির মত ঘটনা। ২০১৩ সালে সুভাষ ঘোষ ও তার চার ভাইয়ের বাসায় লুটপাট শেষে জামায়াত শিবিরের তাÐবের পর অগ্নিসংযোগ, ২০২২ সালে ওই বাড়িতে চুরি ও বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে ডাকাতির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মামলা রেকর্ডের কথা নিশ্চিত করে বলেন, খোয়া যাওয়া বন্দুকটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কোন গ্রেপ্তার নেই।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)