সাতক্ষীরায় বিআরটিএ মূল কাগজ বিহীন স্মার্ট কার্ড জালিয়াতি সক্রিয় চক্রটি
এস কে কামরুল হাসান :সাতক্ষীরা বিআরটিএ তে একটি চক্র মূল মালিক ছাড়া ফিঙ্গার দিয়ে স্মার্ট কার্ড জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মোটা টাকার বিনিময়ে। স্মার্ট কার্ড বের করতে লাগে না মূল মালিকের কাগজ ফিঙ্গার ছাড়াই সিন্ডিকেট চক্রটি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে চলেছে। সম্প্রতি কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের আসাদুজ্জামান সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে।সাতক্ষীরা মদিনা মটরসে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন শোরুম পেপারস একটি পুরাতন বাইক বিক্রি করে আসাদুজ্জামান। খান মটরস বাইকটি কিস্তিতে ফটোকপি শোরুম পেপারস দিয়ে দেলোয়ার হোসেন কাছে বিক্রি করে। কিস্তি পরিশোধ না হতে দেলোয়ার হোসেন শোরুম পেপারস দিয়ে বিক্রি করে নাফিস মটরসে। কোন শোরুম কতৃপক্ষ মূল কাগজ / শোরুম পেপারস ছাড়া কোন গাড়ি ক্রয় বিক্রয়ের বৈধতা নেই ।
কিন্তু নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ফটোকপি শোরুম পেপারস দিয়ে নাফিস মটরস গাড়ি ক্রয় করে মদিনা মটরসে দেলোয়ারের থেকে টাকা বকেয়া থাকার সত্বেও। পরে সেই গাড়ি মূল মালিক আসাদুজ্জামানের ফিঙ্গার ছাড়া স্মার্ট কার্ড জালিয়াতি করে বিআরটিএ যোগসাজশে। বিষয়টি বি আর টি এ সহকারী পরিচালক বরাবর অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, আসাদুজ্জামানের নানা অজুহাত দেখিয়ে আসছে সাতক্ষীরা বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান। আসদুজ্জামানের অভিযোগ তুলে নিতে চক্রটি হুমকি প্রদান করে আসছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, গাড়িটির মূল মালিক আসাদুজ্জামানের মূল কাগজবিহীন তার ফিঙ্গার ছাড়া
স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়েছে সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিস থেকে। কে স্মার্ট কার্ড নিয়ে গেছে জানতে চাইলে বিআরটি অফিস বলে আমরা সকল তথ্য পুড়িয়ে ফেলেছি কিছুদিন আগে।তারা জালিয়াতি ঢাকতে অফিসের কোন আদেশ ছাড়া সম্প্রতি কাগজপুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তারা অপকর্ম ঢাকতে তারা প্রতি মাসে সকল কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে যেন তাদের জালিয়াতি ধরা না পড়ে।
বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম অভিযোগ নিয়মিত অফিসে গেলে পাওয়া যায়না তাকে ।নিজের ইচ্ছে মত অফিস করে।
বিআরটিএ অফিসে রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে গাড়ি প্রতি দুই থেকে তিন হাজার টাকা অতিরিক্ত প্রদান করতে হয়।অতিরিক্ত টাকা প্রদান না করলে নানা অজুহাতে রেজিষ্ট্রেশনের আবেদন বাতিল করা হয়। ড্রাইভিং পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য চার চাকা ক্ষেত্রে ৪০০০ টাকা ও দুই চাকার জন্য জনপ্রতি ২০০০ টাকা অফিসে প্রদান করতে হয়।এই টাকা লেনদেন হয় বিআরটিএ চক্রের একজন সদস্য নাজমুল হাসানের মাধ্যমে।
ফিঙ্গার প্রদান জন্য জনপ্রতি ২০০ টাকা, মোটর সাইকেল ও ডাইভিং স্মার্ট কার্ড নিতে হলে ২০০ টাকা প্রদান করতে হয়। তাছাড়া গাড়ির নেমপ্লেট নিতে হলে আবার বাড়তি ২০০ টাকা প্রদান করতে হয়।সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিসে প্রতিটাধাপে চলে ঘুষ আর জালিয়াতি।
অভিযোগকারী কালিগঞ্জের আসাদুজ্জামান বলেন, আমার বাইক মূল কাগজপত্র আমার কাছে কিন্তু বিআরটিএ অফিসের চক্রের মাধ্যমে জালিয়াতি করে আমার স্মার্ট কার্ড স্মার্ট কার্ড নিয়ে গেছে এভাবে বি আর টি এ চক্রটি টাকার বিনিময়ে অবৈধ গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন করে থাকে।
আমি সাতক্ষীরা বিআরটিএ সহকারী পরিচালকের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ দেওয়ার পর বিআরটিএ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা আমাকে ফোন হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি জালিয়াতি চক্রের বিচার চায়।
সাতক্ষীরা বি আর টি এ সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান কাছে স্মার্ট কার্ড জালিয়াতির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য দিতে বাধ্য নয়।আপনাদের কিসের জন্য তথ্য দিব।