সাতক্ষীরায় অবৈধ ফ্যাক্টরীতে আইসক্রিম তৈরি শিশুসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারন মানুষ
নিজস্ব প্রতিনিধি:আইসক্রিম ছোট বড় সবার কাছে লোভনীয় একটি পন্য। বিশেষ করে প্রচন্ড গরমে রোদের তীব্র খরতাপে শিশু, তরুন, যুবক সব মানুষের প্রান জুড়ায় অনন্য স্বাদের আইসক্রিম। কিন্তু বিএসটিআর অনুমোদন ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে বিভিন্ন আইসক্রিম, আইসবার ফ্যাক্টরি। ঠিক তেমনি বি এস টি আই এর অনুমোদন বিহীন কদরআলী ফ্যাক্টরী নামে নিম্নমানের একটি আইসক্রীম কারখানা গড়ে উঠেছে সাতক্ষীরার ছয়ঘোরিায়া মোড়ে। প্রায় ৩ বছর ধরে গড়ে উঠা অবৈধ এই কারখানায় আইসক্রিম তৈরীতে নোংরা পানির সঙ্গে ঘনচিনি, আটা, ময়দা, সেকারিন ও বিভিন্ন কালারের রঙ মিশিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে আইসক্রীম। অবৈধ এই কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরিকৃত আইসক্রিম খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন তরুন, যুবক, নারী ও শিশুসহ সাধারন মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ রাতের আধারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম ও আইসবার তৈরি করা হয় এই ফ্যাক্টরিতে। সারাদিন বন্ধ থাকলেও রাতের আঁধারে আইসক্রিম ও আইজ বার তৈরির এই কার্যক্রমকে অনেকটাই গোপনে করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা এছাড়া পুকুরের পানি ও কলের পানি মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খালি গায়ে আইসক্রিম ও আইজ বার তৈরি করেন এই ফ্যাক্টরির কর্মচারীরা। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ এই আইসক্রিম কারখানাটি।
সাতক্ষীরা যশোর মহাসড়কের ছয়ঘোরিয়া এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, দেশের অভিজাত বিভিন্ন কোম্পানির নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে নিন্ম মানের আইসক্রিম তৈরী করে বাজারজাত করছেন সাতক্ষীরার সর্বত্র, অবৈধ এই কারখানার আইসক্রিম।উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক কোন নজরদারি না থাকায় অবৈধ এই আইসক্রিম কারখানা মালিক পুরোদমে চালাচ্ছে উৎপাদন ও বিক্রয় কার্যক্রম। নোংরা পানি সঙ্গে ঘনচিনি, আটা, ময়দা, সেকারিন ও বিভিন্ন কালারের রঙ মিশিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে এসব আইসক্রীম।
জেলা নাগরিক নেতারা বলেন অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরিকৃত এসব খাদ্য শিশু স্বাস্থের জন্য মারত্বক হুমকি স্বরূপ। এসব আইসক্রিম খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় ও শিশুদের দেহে টাইফয়েডের সম্ভাবনা থাকে। এসব আইসক্রিম সোডিয়াম সাইক্লোমেড নামক ঘনচিনি ব্যবহৃত হয় যা খেলে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখ ও কেন্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধিপায়।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হয়তো এরকম অবৈধ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠতে পারে আমরা খুব শিগগিরই এই ধরনের কারখানা জন্য জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।।