লজ্জার হারে বিশ্বকাপ শেষ করল বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক:
সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশাল সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। সহজ লক্ষ্য নির্দিষ্ট ওভারের মাঝে তাড়া করতে পারলেই টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিতে উঠতে পারতো টাইগাররা। তবে ম্যাচই জিততে পারেনি শান্তর দল।
সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যালেতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১১৫ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। এই জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল আফগানরা।
সমীকরণ ছিল আফগানিস্তানের দেওয়া লক্ষ্য ১২.১ ওভারে তাড়া করতে পারলে সেমিতে যাবে বাংলাদেশ। অবশ্য ১২.৫ ওভারে জিতলেও হবে, সেক্ষেত্রে ১১৯ রান করতে হবে টাইগারদের। কিন্তু কিছুই হয়নি।
বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। প্রথম ওভার থেকে ১৩ রান আনেন লিটন। এরপর আর কোনো ওভারেই ম্যাচে ছিল না বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে লিটন টিকে থাকলেও বাকিরা আসা যাওয়ার মাঝেই ছিলেন।
একপ্রান্ত আগলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান আসে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। আফগানিস্তানের হয়ে নাভিন উল হক ও রশিদ খান দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে আজ মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। আফগানদের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৫৯ রান।
প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি আফগানিস্তান। তবে ১১তম ওভারেই সাফল্যের দেখা পায় টাইগাররা। রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে আউট হন ১৮ রান করা ইব্রাহিম। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ১০ রানে ফেরান মুস্তাফিজ।
একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা গুরবাজ ক্রমেই বিপদজনক হয়ে উঠছিলেন। নিজের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে তাকে ফেরান রিশাদ। গুরবাজ ৪৩ রান করেন। একই ওভারে ৪ রান করা গুলবাদিন নাইবকে ফেরান এ লেগস্পিনার।
শেষদিকে রশিদের ১৯ রানের অপরাজিত ক্যামিওতে লড়াকু সংগ্রহ পায় আফগানরা। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ তিনটি এবং মুস্তাফিজুর ও তাসকিন একটি করে উইকেট শিকার করেন। আজকের হারে সুপার এইটে জয় ছাড়াই বিদায় নিল টাইগাররা।