দেবহাটায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের লাঞ্ছিতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটায় বকেয়া বিল আদায়ে গিয়ে লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছেন সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেবহাটা সাব-জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। সোমবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলার নাংলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।দেবহাটা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম জহুরুল ইসলাম জানান, নাংলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের বাবা দাউদ আলীর কাছে বিগত ১৫ মাসের বিদ্যুৎ বিল ১০,২০৮ টাকা, একই গ্রামের আবদার গাজির ছেলে আবুল হোসেনের কাছে ৬ মাসের বিদ্যুৎ বিল ৩,৮১৮ টাকা, আবু বক্করের ছেলে আব্দুর রহমানের কাছে তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল ৬,৯৩০ টাকা, আবদার গাজির ছেলে সিদ্দিক গাজির কাছে ৭ মাসের বিদ্যুৎ বিল ৮,৮০৭ টাকা, খিদির আলির ছেলে মাদার আলির কাছে ৫ মাসের বিদ্যুৎ বিল ৫,৬৫৫ টাকা বকেয়া রয়েছে। বারবার মৌখিকভাবে বলা স্বত্তে¡ও এসকল গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিলের টাকা পরিশোধ করছিলেন না। জুন ক্লোজিংয়ের কারনে সোমবার সকালে দেবহাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান লেভেল-১ শেখ রিয়াজুুল ইসলাম ওই এলাকায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে গিয়েছিলেন। গ্রাহকদের তাগিদ দেয়া স্বত্তে¡ও তারা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল দিতে অস্বীকৃতি জানালে লাইনম্যান রিয়াজুল ইসলাম তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা জানান। একপর্যায়ে সাবেক ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান সহ অন্যান্য গ্রাহকরা হকিস্টিক, লোহার রড ও লাঠিশোঠা নিয়ে লাইনম্যান রিয়াজুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। খবর পেয়ে সাব-জোনাল অফিসের এজিএম জহুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা করলে তাকেও বাক্যবাণে লাঞ্ছিত করেন অভিযুক্ত গ্রাহকরা। পরে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পৌঁছান পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
তবে এব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান বলেছেন, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে গিয়ে গ্রাহকদের সাথে দূর্ব্যবহার করেছিলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা। এতে করেই তাদের সাথে আমাদের বাক-বিতন্ডতা বাঁধে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিতের অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দেবহাটা থানার ওসি সেখ মাহমুদ হোসেন বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় এজিএম জহুরুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা রূজু সহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অফিসার ইনচার্জকে সুপারিশ করা হয়েছে।