ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউরের জায়গায় দায়িত্ব পেলেন সুরেশ চন্দ্র
ডেস্ক নিউজ:
বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ছাগলকাণ্ডে সমালোচিত মো. মতিউর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে আজ সোমবার এ তথ্য জানা যায়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সদস্য (টেকনিক্যাল) সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে এই আদেশ জারি করা হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী অর্থ বিভাগ থেকে সময় সময় জারি করা আদেশে উল্লিখিত হারে ও শর্তে কার্যভারভাতা পাবেন এবং অবশ্যই অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত দায়িত্ব’ লিখতে হবে।
এরআগে, গতকাল রোববার আরেক প্রজ্ঞাপনে মো. মতিউর রহমানকে বর্তমান দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি কোরবানির জন্য রাজধানী সাদেক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত। তবে শুরুতে মতিউর রহমান ইফাতকে ছেলে হিসেবে পরিচয় দেননি। তখন ইন্ডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে মতিউর রহমান বলেন, ‘ছাগলকাণ্ডে ভাইরাল ওই ছেলেকে আমি চিনি না। সে আমার সন্তান নয়। আমার নাম জড়ানোয় আমি ও আমার পরিবার অনেক বিব্রত।’
তবে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, ইফাত তাঁর মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।
নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি, রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। মতিউর রহমান নিয়মিত দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর নানা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আলোচিত ওই ধূসর বাদামি রঙের ছাগলটির ওজন ১৭৫ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। প্রায় দুই মাস আগে এটিকে যশোরের একটি হাট থেকে ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কেনে সাদেক এগ্রো। ফেসবুকের এই ছাগলের সঙ্গে ওই যুবক ছবি দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। এক রাজস্ব কর্মকর্তা কীভাবে এতো দামে ছাগল কিনলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।