ছাগলকাণ্ডের মতিউর এবার হারালেন সোনালী ব্যাংকের পদ
ডেস্ক নিউজ:
ছেলের ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমানকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর এবার সোনালী ব্যাংক থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রোববার সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এ তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে বলেন, আলোচিত মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে আজকের বোর্ড সভায় উপস্থিত থাকতে নিষেধ করা হয়েছিল।
এদিকে রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হলো।
তবে কেন এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, প্রজ্ঞাপনে তা উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে, ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ‘সাদিক এগ্রো’ ফার্ম থেকে বিটল প্রজাতির খাসি ১৫ লাখ টাকায় কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক।
সাদিক এগ্রোতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে ঐ ছাগলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ইফাত বলেন, এ রকম একটি খাসি কেনা আমার স্বপ্ন ছিল। এ রকম খাসি আমার জীবনে প্রথম দেখা। এটা আমার হবে, জানা ছিল না। আল্লাহ নসিবে রাখছে, তাই হইছে। ১১ জুন এটি ধানমন্ডি-৮ এ ডেলিভারি দেওয়া হবে।
ঐ ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে গুঞ্জন ওঠে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে। রাজস্ব কর্মকর্তা বাবার দুর্নীতির টাকায় তিনি ১৫ লাখ টাকায় খাসিটি কিনেছিলেন। এ ঘটনায় ওই ছেলে ও তার বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে চলছে বিস্তর সমালোচনা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্টে খাসির ক্রেতা যুবকের বাবার দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে। তবে ইফাতকে নিজের সন্তান নন বলে দাবি করেন মতিউর রহমান।
তবে বর্তমানে ছাগলের হিসাব-নিকাশ বাদ দিয়ে এখন আলোচনা চলছে মতিউর রহমানের সম্পদ নিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি এই কর্মকর্তা দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।
প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু সম্পদের তথ্যও পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের বিস্তারিত তথ্য জানতে এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।