মানকচু খেলে জন্ডিস ভালো হয়, চুলের জন্যও উপকারী
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মানকচু বর্ষজীবী গুল্ম। এর বৈজ্ঞানিক নাম Alocasia macrorrhiza/ Alocasia indica। এটি Araceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। কন্দ থেকে নতুন গাছ জন্মে। বায়ব কাণ্ড দৃঢ়, ১-৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। কন্দ থেকে পাতা বের হয়। পাতা ত্রিভুজাকৃতি। ফুল গন্ধযুক্ত, ফল বেরী।
আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে মানকচুর প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে। মানকচু সাধারণত রান্নার সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সমগ্র বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে পুকুর পাড়ে, বাড়ির আনাচে কানাচে এবং প্রাচীরের পাশে লাগানো হয়। তবে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয় না। শীতের শুরুতে ফুল ও ফল ধরে। ব্যবহায্য অংশ কন্দ, ডাঁটা এবং পাতা। মানকচুর ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে।
ঔষধিগুণ:
১. ফুলা এবং ব্যথা স্থানে মানকচুর পাতা গরম করে সেঁক দিলে ব্যথা কমে যায়।
২. মানকচুর ক্ষার সৈন্ধব লবণ ও সরিষা তেলের সাথে জিহ্বায় ঘষলে ঘা নিরাময় হয়।
৩. মানকচুর শাকে প্রচুর লৌহজ উপাদান এবং ভিটামিন রয়েছে বিধায় শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৪. প্লীহা উদর জনিত শোথে ৬ গ্রাম পাতা, ১২০ মি.লি. গরুর দুধসহ সেবনে নিরাময় করে।
৫. মানকচু চূর্ণ গরম দুধের সঙ্গে সেবন করলে জন্ডিস ভালো হয়।
৬. মানকচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যেমন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, অন্যান্য ফেনোলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ সিস্টেমে ফুসফুসে, মুখে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার শক্তি যোগায়।
৭. মানকচুর ভিটামিন বি৬, বাত, বাতের তীব্র ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা নিবারণে উপকারী।
৮. মানকচুতে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ থাকায় শিরা, ধমনি ও রক্তনালী সমূহে প্রবাহিত রক্ত চাপের চাপকে প্রশমিত করে। আর রক্তনালির রক্তপ্রবাহের চাপ নিয়ন্ত্রণ থাকলে হার্টের উপরে চাপ কম পড়ে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
৯. মানকচুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ও ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১০. বিভিন্ন কারণে শরীরের পেশি সংকোচন হয়ে থাকে ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা যন্ত্রণা হতে পারে সেক্ষেত্রে মানকচুর পটাশিয়াম পেশি সংকোচনে বাধা সৃষ্টি করে সুস্থতা প্রদান করে।
১১. মানকচু খেলে দাঁত ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।