যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় সরিষার তেলে রান্না নিষিদ্ধ

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ ভোজ্য তেল হিসাবে সরিষার তেল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। শুধু আমেরিকায়ই নয় কানাডা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশেও সরিষার তেলের ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে।
অপরদিকে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে সরিষার তেল ঠিক কতটুকু রান্নায় দেওয়া যাবে, তার পরিমাপ ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, সরিষার তেলে ইউরিকিক অ্যাসিড বেশি থাকে। এটি একটি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এটিকে মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করে।

সংস্থাটির মতে, এই অ্যাসিড অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব পড়ে। ফলে রান্নায় প্রচুর পরিমাণে সরিষার তেল ব্যবহার করা হলে সেই খাবার হজম হতে দেরি হওয়ার পাশাপাশি পেট খারাপও হয়।

ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আরো বলেছে, এই যৌগটি বেশি পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করলে মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। এই অ্যাসিড হার্টের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। হৃদপিন্ডের পেশীতে চর্বি জমে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

তবে ভারতের চিকিৎসকরা বলছেন, সরিষার বীজে থাকা কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সরিষার তেল পরিমিতভাবে রান্নায় ব্যবহার করলে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। সরিষার তেলে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

সূত্র: টাইমস নাউ

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)