বিশ্ব বায়ু দিবস আজ
ডেস্ক রিপোর্ট:প্রতিবছরের ন্যায় আজ ১৫ জুন বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বায়ু দিবস। বায়ুকে কীভাবে পুনর্নবীকরণ যোগ্য করে তোলা যায়, সেই বিষয়ে নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে পালন করা হয় বিশ্ব বায়ু দিবস।এই দিবসটির তাৎপর্য হলো আরো বেশি বায়ুর ব্যবহার বৃদ্ধি করা, যাতে গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন কম হয়। আরো বেশি বায়ুর ব্যবহার করা যাতে পরিবেশ দূষণের পরিমাণ কিছুটা হলেও কম হয়।জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বায়ুশক্তি নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের সমন্বয়ে ইউরোপিয়ান উইন্ড এনার্জি এসোসিয়েশন (ইডব্লিউইএ) নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলা হয়। পরবর্তীতে ইডব্লিউইএ’র নাম পরিবর্তন করে উইন্ড ইউরোপ রাখা হয়।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৬টি কারণে বিশ্বজুড়ে বায়ু বিদ্যুতের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এগুলো হচ্ছে- কোনো পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই, জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হয় না, প্রাকৃতিক গ্যাসের খরচ রোধ, সহজ ও সুলভ রক্ষণাবেক্ষণ, যেকোনও অঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করা যায় এবং প্লান্ট স্থাপনের জন্য অল্প জায়গার প্রয়োজনীয়তা।বায়ু শক্তি ব্যবহার করে অন্তত ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এ ছাড়া চীন সৌর বিদ্যুতের পর বায়ু বিদ্যুতে গুরুত্ব দিচ্ছে। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছে, আমাদের দেশের যে আবহাওয়া তাতে প্রায় ৫০০০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ করা সম্ভব।
বিশ্ব বায়ু দিবসের ইতিহাস:-আজ থেকে বহু বছর আগে মিশরের নীল নদীতে নৌকা চালানোর জন্য কিছু বায়ু কল ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই প্রথম বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোনো কাজ করেছিল মানুষ। এরপর ২০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে চীনে বায়ু চালিত পানির পাম্প তৈরি করা হয়। এই মেশিনটি তৈরি করার পর খুব কম সময়ে এবং খুব কম পরিশ্রমে ক্ষেতে পানি দেওয়ার কাজটি সম্পন্ন হয়।খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে আলেকজান্দ্রিয়ার হেরন উইন্ডহুইল তৈরি করেছিলেন, যা প্রথম বায়ু চালিত চাকা ছিল। চাকাটিতে একটি ছোট্ট উইন্ড মিল ছিল, যা চাকাটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করত। এই আবিষ্কারটি ভীষণ জনপ্রিয় একটি যন্ত্র হিসেবে পরিচিতি পায় সারা বিশ্ব জুড়ে।১৮০০ দশকের শেষের দিকে এবং ১৯০০ দশকের প্রথম দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক আকারে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়। ১৯৭০ – এর দশকে তেলের ঘাটতির কারণে বায়ু শক্তিকে কাজে লাগানো হয় ব্যাপক হারে। আর তখন থেকেই শুরু হয় বিশ্ব বায়ু দিবস উদযাপন।