ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়
ডেস্ক রিপোর্ট;প্রিয়জনদের সঙ্গে কোরবানির ঈদ উদযাপনে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকা ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ। ঘরমুখো যাত্রীদের পদচারণে মুখর ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট।শনিবার ভোরে সরেজমিনে সদরঘাটে দেখা যায়, ফজরের নামাজের পর থেকেই যাত্রীরা সদরঘাটে আসতে শুরু করেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, হাতিয়া, পটুয়াখালীগামী পল্টুনে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও বরিশাল রুটে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম।চাঁদপুরগামী যাত্রী শফিকুল জানান, গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে ভোরেই ছেলেমেয়েদের নিয়ে টার্মিনালে চলে এসেছি। লঞ্চ অলরেডি ভরে গেছে। কিছুক্ষণ পরেই ছেড়ে দেবে।বরিশালগামী যাত্রী শওকত বলেন, প্রতিবার বাসে করেই বাড়ি যাই। এবার বন্ধুরা মিলে লঞ্চে যাচ্ছি। সময় বেশি লাগলেও লঞ্চে যাওয়ার আনন্দ আছে।সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বড় লঞ্চগুলোর কোনো কেবিন খালি নেই। বেশির ভাগ লঞ্চ যাত্রীঠাসা। লঞ্চের নিচতলায় (ডেকে) পাটি বিছিয়ে যাত্রীরা যার যার মতো বসে পড়েছে। কোনো কোনো লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের বসার জায়গাও নেই।আবার যাত্রীতে ভরপুর থাকার পরও কোনো কোনো লঞ্চে আরো যাত্রী তোলার তোড়জোড় দেখা যায়। কিছু লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিতেও দেখা গেছে। বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও ট্রাফিক) মো. আলমগীর কবীর বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতির তুলনায় যাত্রীর চাপ অনেক বেড়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ যেন ঘাট ছাড়তে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।গতকাল শুক্রবার দক্ষিণের ৪১টি পথে চলাচলের জন্য ঘাটে প্রস্তুত ছিল ১২০টি লঞ্চ। যাত্রীতে পূর্ণ হলেই নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। রাত ১০টা পর্যন্ত ৯৮টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের দিকে রওনা হয়ে যায়।