বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে সম্মানহানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে সম্মানহানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪ টায় শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংস্থাটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স সমাজসেবা অধিদপ্তর ও এনজিও এফেয়ার্স ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধিত সংগঠন যা প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলে সুনামের সাথে কাজ করছে। সম্প্রতি একটি ফেসবুক গ্রæপ “অগ্রযাত্রা” থেকে একটি ভিডিও সংবাদ প্রচার করা হয়েছে যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ভিডিওতে লিডার্স যে অর্থ গ্রহন করেছে বলে দাবী করা হয়েছে তা শুধু অসত্য তাই নয়, হাস্যকরও বটে। সেখানে ৬টি দাতা সংস্থার কাছ থেকে ৪১ কোটি টাকা গ্রহন করার কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত অর্থে ওই ৬ টি সংস্থার কাছ থেকে লিডার্স মাত্র ৮ কোটি টাকা গ্রহন করেছে এবং এই টাকা যথাযথ খাতে ব্যয়ও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অপরাধ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী বলা উচিৎ নয়। কিন্ত তারা যেভাবে লিডার্সের পরিচালককে ব্যাক্তিগত আক্রমন করেছে তাতে তারা বিষ্মিতি হয়েছেন বলে জানান। একটি সংগঠন পরিচালিত হয় একটি ম্যানেজমেন্ট বোর্ড দ্বারা। সেখানে বিভিন্ন স্তরে কর্মীরা থাকে যারা সংগঠন পরিচালনায় ভুমিকা রাখেন। সেখানে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে শুধু নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে বিষাদগার করা উদ্দেশ্য প্রনোদিত, সম্মানহানীকর ও তার জীবনের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরুপ। এনরকম কুরুচিপুর্ন ভাষা ব্যবহার, মিথ্যা তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে লিডার্সের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এসময় তিনি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটি প্রকল্প এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে অনুমোদন হওয়ার পর ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা আসে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পের দাতা সংস্থা তহবিল ব্যবস্থাপনা মনিটরিং করেন। এছাড়া এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর তালিকাভুক্ত একটি অডিটর প্রকল্প অডিট করেন। অডিটর এপ্রতিবেদন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে জমা দেন। সেখানে পর্যালোচনা করে গ্রহন বা বর্জন করেন। লিডার্স এ পর্যন্ত যত প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে তা স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যয়ন প্রদান করেছেন ও সকল প্রকল্পের অডিট প্রতিবেদন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে গৃহীত হয়েছে। লিডার্স যে অর্থ বিদেশ থেকে নিয়ে আসে তা স্থানীয় মানুষের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। লিডার্সের উত্তোরোত্তর সমৃদ্ধিতে একটি স্বার্থন্বেষী মহল লিডার্সের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিপুর্বে অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে।
অসত্য তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে লিডার্সের সুনাম ক্ষুন্ন করার এই চক্রান্তকে রুখে দেওয়ার জন্য তিনি এসময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং দেশ ও উন্নয়ন বিরোধী এই অপতৎপরতার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহিসহ অন্যান্যরা।