আশাশুনির বড়দলে স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে অপহরনের অভিযোগে তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার আশাশুনির বড়দলে স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে অপহরনের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। অপহরনের সাথে জড়িত মূলহোতা সোহাগ গাজীসহ তিনজনকে আসামী করে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে উক্ত মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক এম.জি আযম এ মামলাটি পিবিআই সাতক্ষীরাকে তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। গত ১৯ মে ২০২৪ তারিখে মামলাটি দায়ের করেন অপহরনের শিকার খাদিজা খাতুনের মা আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের পীর আলী গাজীর স্ত্রী পারভীন খাতুন।এ মামলার আসামীরা হলো, খুলনা জেলার পাইগাছা উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের সবুর গাজীর ছেলে সোহাগ গাজী (২৮), একই উপজেলার কানুয়ারডাঙ্গী গ্রামের সিরাজুল গাজীর ছেলে শামীম হোসেন (২৭) ও চক্কাবাড়ী গ্রামের আবুল মোল্যার ছেলে ইব্রাহিম মোল্যা (৩০)।মামলার বিবরনে জানা যায়, এক নম্বর আসামী মূলহোতা সোহাগ গাজী এ মামলার বাদী পারভীন খাতুনের মেয়ে স্বামী পত্যিাক্তা এক সন্তানের জননী খাদিজা খাতুনকে প্রায়ই তাদের বাড়ির আশে পাশে এসে উত্যক্ত ও কু প্রস্তাব দিতো। বিষয়টি বাদী জানার পর তাকে নিষেধ করলেও সে পরোয়া না করে এক পর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ বেলা ১১ টার সময় খাদিজা তার মায়ের বাড়ির পাশে খাবার পানি আনতে গেলে পথিমধ্যে গাজীর আমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাকে একা পেয়ে আসামী সোহাগ গাজী, শামীম ও ইব্রাহিম তাকে চোখ মুখ জাপটে ধরে জোর পূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে অপহরন করে নিয়ে যায়। এসময় তার আতœ চিৎকারে বাদীর বৃদ্ধ বাবা আদর আলী (৬৩) বিষয়টি দেখে তিনিও চিৎকার করে তার নাতনীকে অপহরনকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে বাদী পারভীন খাতুন তার কন্যাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে বাধ্যহয়ে গত ৩০ মে ২০২৪ তারিখে আশাশুনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু আশাশুনি থানার ওসি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় তিনি আদালতের শরনাপন্ন হন এবং আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বাদী তার মামলায় আরো উল্লেখ করেন, ১ নং আসামী সোহাগ গাজী তার কন্যার সাথে জোরপূর্বক দৈহিক মেলামেশাসহ তাকে খুন করতে পারে বলে তিনি আশংখা করছেন।এ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাড. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এম.জি আযম এ মামলাটি পিবিআই সাতক্ষীরারকে তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)