আবারও দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক নিউজ:
দ্বিপক্ষীয় সফরে আগামী ২১ জুন দিল্লি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর ফের দেশটিতে যাচ্ছেন সরকারপ্রধান।
ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় সফরে আগামী ২১ জুন দিল্লি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দিনের সফরে দেশটিতে যাচ্ছেন তিনি। দিল্লি সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দিল্লি সফরের সময় শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। আশা করা হচ্ছে, বৈঠকে দুই শীর্ষ নেতা দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তিস্তাসহ ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা মসনদে বসার পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর দিল্লি নাকি বেইজিং হবে, তা নিয়ে নানা আলোচনা ছিল। এ আলোচনার মধ্যে ভারতের নির্বাচন চলাকালীন গত মে মাসে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিল্লি সফর করার আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। নির্বাচনের মাঝপথে নতুন সরকার নিশ্চিত না হওয়ার আগে বিদেশি কোনো সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনা বিরল। হয়তো শেখ হাসিনা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি।
আমন্ত্রণপত্র পেয়ে জুনের ২১-২৩ এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে প্রস্তুতিও নিচ্ছিল ঢাকা। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। আর আমন্ত্রণ জানান তার নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে। বঙ্গবন্ধু কন্যাও আমন্ত্রণ গ্রহণ করে যোগ দেন মোদির শপথ অনুষ্ঠানে।
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনা প্রথম বিদেশ সফর করেন জার্মানিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি দেশটিতে অনুষ্ঠিত মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেন।
বহুপক্ষীয় ফোরামের বাইরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে সরকারপ্রধান গত এপ্রিলের শেষের দিকে ব্যাংককে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর করেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়া সৌজন্য সফর বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দিন দশকের মাথায় ফের সরকারপ্রধান দিল্লি যাবেন কিনা-তা নিয়ে সংশয় ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, পরবর্তী সুবিধাজনক সময়ে প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে দ্বিপক্ষীয় সফরে যাবেন। কিন্তু দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের বেলায় সবই সম্ভব বলেই হয়তো স্বল্প সময়ের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো।
সবশেষ, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বিশেষ আমন্ত্রিত হয়ে দিল্লি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সেটা ঠিক দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা দিল্লিতে শেষ দ্বিপক্ষীয় সফর করেন।
এদিকে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে দেশটি। গত রমজানের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফর করার একটা ‘তড়িঘড়ি’ প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরে জুলাইয়ে চীনের পক্ষ থেকে সরকারপ্রধানকে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন সরকারপ্রধান। সবকিছু ঠিক থাকলে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে বেইজিং সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।