স্বামীর মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রাণ চেয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় রাজাকার পুত্র জিয়াউর রহমান জিয়ার হয়রানি ও মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) দুপুরে তালার আটারই গ্রামের আতিয়ার রহমানের স্ত্রী তাসলিমা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেনসংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী আতিয়ার রহমান পেশায় একজন দিন মজুর। গ্রামে অতি সহজ সরল ভাবে দিন যাপন করেন তিনি। আমাদের স্থানীয় প্রতিবেশী মোঃ ওহাব আলী গাজী ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় তিনি সক্রিয় একজন রাজাকার ছিলেন। এছাড়ও তিনি ছিলেন বেতন ভাতা প্রাপ্ত ৫০ হাজার রাজাকারদের মধ্যে একজন। ২০১৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় কর্তৃক রাজাকারদের তালিকা প্রকাশিত হলে, সেখানেও দেখা যায় ওহাব আলী গাজীর নাম রয়েছে। ওহাব আলী গাজীর ছেলে জিয়ার নানাবিধ বির্তকিত ও হয়রানীমূলক কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। ইতোপূর্বে জিয়ার বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা। এদিকে, জিয়াউর রহমান জিয়া’র সঙ্গে আমার স্বামীর জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ছোট একটি কন্দোল ছিলো। তাছাড়া জিয়ার সঙ্গে স্থানীয় মতিউর রহমানের স্ত্রী মুনজিলা খাতুনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক্য চলমান রয়েছে। যে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে এলাকার সকলেই জানে। বেশ কিছুদিন আগে জিয়া ও মুনজিলাকে আমার স্বামী আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। উল্লেখিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে প্রায়ই আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করা সহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দিতো। এ বিষয়টি সম্পর্ক্যে স্থানীয় সকলেই অবগত রয়েছে। শুক্রবার ৩১ মে মধ্য রাতে তালা থানা পুলিশ আমার স্বামী আতিয়ার রহমানকে বাড়ি থেকে আটক করে। পরেরদিন অর্থাৎ ০১ জুন সকালে আমরা জানতে পারি প্রতিবেশী মতিউর রহমানের তিন বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আমার স্বামীর নামে মামলা হয়েছে। যাহার মামলা নং- ১/৭৫, মামলার বাদী মতিউর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ মুনজিলা খাতুন ও মামলার সাক্ষী জিয়াউর রহমান জিয়া। এ বিষয়ে আমি গত ০৬ জুন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ সুপার পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তালা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমার স্বামীর নামে মিথ্যা ও সাজানো মামলা হওয়ার পর থেকে জিয়া আমাদেরকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখানো সহ হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তাছাড়া জিয়া ও মুনজিলা আমার স্বামীর নামের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমার কাছে নগদ পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছে। চাহিদা মত টাকা না পেলে এই ধরনের হয়রানীমূলক কার্যক্রম একের পর এক চলতে থাকবে বলে তাহারা জানিয়েছে। উল্লেখিত বিষয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।