শ্রমিক হত্যা মামলার বাদী পরিবর্তন করে অন্যান্য আসামীদের নাম অন্তভূক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় বিরোধপূর্ণ জমিতে শ্রমিক হিসেবে ডেকে নিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার বাদী পরিবর্তন এবং অন্যান্য আসামীদের নাম অন্তভূক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তালার জেঠুয়া গ্রামের শের আলী ফকিরের ছেলে দ্বীন মজুর মো: রেজাউল ফকির।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আমার তিনপুত্র তারাও চাষাবাদ এবং শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত ২০২০ সালের ২ আগস্ট নেহালপুর গ্রামের আনোয়ার শেখের পুত্র জাকির হোসেন আমার মেঝপুত্র রইছ ফকির (৩০) কে তাদের বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ করার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে জাকির হোসেনের প্রতিপক্ষ একই এলাকার আতিয়ার রহমান শেখের নেতৃত্বে হাসান শেখ, ফারুক শেখ, আফাজ উদ্দিন শেখের পুত্র নাসির শেখ, বছির শেখ, মুনছুর শেখ গং হামলা করে। এসময় সুকৌশলে জাকির হোসেন আমার পুত্রকে সামনে এগিয়ে দিলে তাদের হামলায় আমার পুত্র গুরুতর আহত হয়ে পরে মারা যায়। আমার পুত্রের মৃত্যুর ঘটনাটিকে পুঁজি করে জাকির গংয়ের দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি দখলের চক্রান্ত শুরু করে। আর এ কারনেই তড়িঘড়ি করে জাকির তার বেয়াই বাহারুল মোল্যাকে বাদী সাজিয়ে মামলা করে। যার মামলা নং-০২, তাং-০৪.০৮.২০২০, জি আর ৬৮/২০। আমি তখন পুত্র হারানোর শোকে হতভম্ব। সে সুযোগে জাকির নদীর ওপার গোনালী নলতা এলাকার ওই ব্যক্তিকে বাদী করায়।
তিনি আরো বলেন পুত্র মারা গেছে আমার। রেখে যাওয়া দুটি শিশু সন্তানকে নিয়ে তার স্ত্রীসহ আমার পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। হত্যা মামলার বাদী হবে হয়ত তার স্ত্রী, না হলে আমি (পিতা) অথচ নিজেদের স্বার্থে সেটি করেনি জাকির। সে সময় তাদের কৌশল বুঝে উঠতে না পারলেও এখন বুঝতে পারছি। ইতোমধ্যে জাকির হোসেন মামলা তুলে নেওয়ার শর্তে আতিয়ার গং এর সাথে দীর্ঘদিনের জমির বিরোধের মিমাংসা করে নিচ্ছে। অথচ আমি ছেলে হারিয়েছি, পুত্রবধু তার স্বামী হারিয়েছে এবং দুটি শিশু তাদের পিতাকে হারিয়েছে সেই বিচার না করে তারা নিজেদের স্বার্থে ব্যস্ত। যদি এক্ষুনে ওই মামলার বাদী পরিবর্তনপূর্বক যারা ডেকে নিয়ে আমার পুত্রকে হত্যা করেছে তাদের নাম মামলায় অন্তভূক্ত করা না হয় তাহলে আমরা ন্যায় বিচার বঞ্চিত হবো, দুটি শিশু সন্তান তাদের পিতা হত্যার ন্যায় বিচার পাবে না।
আমি একজন অসহায় সন্তান হারা পিতা হিসেবে অবিলম্বে ওই হত্যা মামলার বাদী পরিবর্তন এবং অন্যান্য আসামীদের নাম অন্তভূক্তি পূর্বক ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।