জ্ঞান পাপীরা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রূ
লেখক সরদার এম এ মজিদ: জ্ঞান পাপীরা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রæ এ কথা ধ্রæবসত্য। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পূর্ন নির্ভর করে , প্রজাতন্ত্রের সকল শ্রেনী পেশার কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের উপর। প্রজাতন্ত্রে¿র সকল কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যদি সততা, নীতি নৈতিকতা মানবতা ও দেশ প্রেম না থাকে , তাহলে দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন আশা করা যায় না। এই দেশ শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে যে, ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল , শুধু মাত্র জ্ঞান পাপীদের ঘুষ ,দুর্নীতির কারনে বাধাগ্রস্থ ,নতুবা আমরা অচিরেই উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উ”ু করে দাড়াতে পারতাম। সকল আশা ভরসা ¤øান করে দিচ্ছে, প্রজাতন্ত্রের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ঘুষ দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতি পরিলক্ষিত হইতেছে। ক্রমেই ঘুষ,দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতি বৃদ্ধি পাইতেছে, এর এক মাত্র কারন হলো, দেশ প্রেম না থাকার কারন। প্রত্যেকে স্বার্থ প্রেম নিয়ে ব্যস্ত,স্বার্থ প্রেম থাকত না, যদি জবাব দিহিতা কঠোর থাকত। জবাব দিহিতা কঠোর থাকবে কিভাবে, ঘুষ দুর্নীতি স্বজন প্রীতির সহিত পরস্পর যোগ সাজোসের কারনে, কঠোর জবাব দিহিতা হচ্ছেনা। এই প্রজাতন্ত্রের অধীনে যাহারা দায়িত্বশীল পর্যায়ে আছে, তাদের মধ্যে যদি এক বিন্দু পরিমান দেশ প্রেম থাকে , তাদের দ্বারা এক টাকারও ঘুষ দুর্নীতি হতে পারে না। এই দেশ বহু ত্যাগের বিনিময়ে,বহু ইজ্জতের বিনিময়, বহু রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা । এই বাঙ্গালী জাতি আজও বুঝিনি তার মর্ম ব্যাথা । যদি বুঝত তাহলে ঘুষ দুর্নীতির প্রমান্য চিত্র দেশবাসীকে দেখতে হতো না, বা শুনতে হতো না। অতি দুঃখের সহিত জানাইতেছি এই দেশের মানুষ কি সব টাকার লাইগা দেউলিয়া হয়ে গেছে ? বাকী ছিল মুক্তি যোদ্ধারা তাহাদের মধ্যেও দুর্নীতি ঢুকে গেছে বহু ভুয়া মুক্তি যোদ্ধা সেজে সরকারের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা আত্বসাৎ করছে। এই যদি হয় দেশের অবস্থা । মনে হচ্ছে দেশে ঘুষ দুর্নীতির যেন হরিলুট চলছে। এটা বাঙ্গালি জাতির জন্য অশনি সংকেত, আর প্রজাতন্ত্রের জন্য দুরভাগ্য । যদি এই প্রজাতন্ত্রের সকল শ্রেনী পেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সততা নীতি নৈতিকতা ও মানবতার বিকাশ ঘটে ও প্রত্যেকের অন্তরে দেশ প্রেম জাগ্রত হয় তাহলে দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন আশা করা যায়। দেশ নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার তার চিন্তা চেতনার কথা দেশ বাসী কখনো ভুলতে পারবেনা। তিনি দেশের মঙ্গলের জন্য, দেশের ভাগ্যের কি ভাবে উন্নয়ন হবে সেই লক্ষে তিনি প্রজাতন্ত্রের অধিন সকল শ্রেনী পেশার কর্মকর্তা কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের এমন ভাবে বেদন ভাতা বৃদ্ধি করিয়াছে, যাহাতে এদেশে যেন কোন প্রকার ঘুষ দুর্নীতি যেন কেউ না করে। এ দেশের মানুষ যেন তাদের ন্যার্য়্য অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে। এই রকম একটা মহাৎ উদ্যেগকে হতাশা ব্যাজ্ঞক করে দিচ্ছে জ্ঞান পাপীরা। বড় বড় জ্ঞান পাপীরা কোটি কোটি মিলিয়ান ডলার বিদেশে পাচার করছে, ইহাতে দেশের অর্থনীতি শূন্যের কোটায় নেমে যাচ্ছে। ইহাতে কি জ্ঞান পাপীদের বিবেক দংশন করে না ? যাহারাই রক্ষক তাহারাই যদি ভক্ষক হয় , কথায় বলে বেড়ায় যদি কাকুড় খায় , ঘেরা দেবে কি দিয়া। শেখ সাহেবের একটা বানীর কথা মনে পড়ে গেল , সুদুর পঞ্চাশ বছর পূর্বে শেখ সাহেব অতি দুঃখের সহিত বলেছিলেন দেশে তখন সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালি, আর আমি আট কোটি কম্বল এনেছি, তাহলে আমার কম্বলটা গেল কোথায় ? পার্শ্চত্য দেশ পেয়েছে সোনার খনি, আর আমি কি পেয়েছি চোরের খনি, কথাটা পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে হইলেও বর্তমানের সহিত সংগতি পুর্ন্য। দেশের ব্যাংক গুলি প্রায় সব দেউলিয়া হয়ে গেছে, শুধু মাত্র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। এখন বাকি আছে দেশটাকে দেউলিয়া করা। বর্তমানে পেক্ষাপট থেকে যা বোঝা যাচ্ছে, ইহাতে প্রতিয়মান হয় যে, বড় বড় জ্ঞান পাপীরাই দেশটাকে দেউলিয়া করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, দেশবাসী তাই মনে করছে। বড় বড় জ্ঞান পাপীরা যে কি পরিমান অর্থ সম্পদ পুজ্ঞিভুত করেছে। এই দেশ যে কোন মুহুর্তে তাহারা গ্রাস করে নিতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে ইন্টাররেটের ক্রমবর্ধিত হারে যা বিকাশ ঘটছে। বর্তমানে বিশ্বের কোথায় কি হচ্ছে না হচ্ছে সব কিছু এখন প্রত্যেকটি মানুষ ঘরে বসে দেখতে শুনতে ও বুঝতে পারছে। তারপর মিডিয়া ও পত্র পত্রিকায় বিস্তারিত তথ্য দেশবাসী স্বচক্ষে অনুধাবন করছে। এই দেশে জ্ঞানপাপীদের মুখোশ এমনভাবে উম্মোচন করা উচিৎ। একজনও জ্ঞানপাপী যেন দুর্নীতি করার সৎ সাহস আর কখনও না পায়। জ্ঞানপাপী কাহাকে বলে , তাদের কাজ কি ? জ্ঞানপাপী ঐ ব্যাক্তিকে বলা হয়। জেনে, শুনে, বুঝে অন্যায় কে ন্যায় মনে করে , ভÐ ও প্রতারনার মাধ্যমে যদি এক টাকারও ঘুষ দুর্নীতি করে, সেও জ্ঞানপাপী । এদের কাজ হচ্ছে সত্যকে আড়াল করে মিথ্যা ভুয়া প্রতারনার মাধ্যমে কোটি কোটি আতœসাৎ করা। ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা এক এক জন জ্ঞানপাপী এক এক কায়দায় লুকানোর চেষ্টা চালাইয়া যাচ্ছে। পাপ কখনও বাপেরও ছাড়েনা । প্রতিদিন পত্র পত্রিকার পাতা উল্টালেই ঘুষ দুর্নীতির বিভিন্ন চিত্র দৃশ্যমান হচ্ছে। সেদিন ১৭/০৫/২০২৪ তারিখের আজকের পত্রিকার হেড লাইনে লেখা দেখলাম ৫৩২ জন বাংলাদেশীদের দুবায়ের চার হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রকাশ হয়েছে। ইহা ছাড়া কত হাজার হাজার লোকের অবৈধ সম্পদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছে, কে রাখে কার খবর। জ্ঞানপাপীদের এরকম বহু ঘটনা দেশের মধ্যে নামে বেনামে অর্থ সম্পদের পাহাড় আছে। অধিকাংশ জ্ঞানপাপীরা টাকা পাচার করে বিদেশের ব্যাংকে টাকা জমা করছে। এরকম বহু শ্রেনীর জ্ঞানপাপীরা সবাই আখের গোছানোর তালে ব্যাস্ত সময় পার করছে। আর এক শ্রেনীর জ্ঞানপাপীরা ডিজিটাল যুগে নব আর্বিভুত হয়েছে, ইদানিং দেখতে বা শুনতে পাচ্ছি স্কুল কলেজ, ভার্সিটি মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দ্বারা ছাত্রী ধর্ষন হচ্ছে, ইহাতে শিক্ষা দিক্ষার অগ্রগতি রোধ হচ্ছে। বিশেষ করে নারীরা ভীত সন্ত্রত্র হইয়া পড়িয়াছে। তাদেরও শিক্ষার গতি রোধ হচ্ছে। শিক্ষকের দ্বারা ছাত্রী ধর্ষন এর থেকে জঘন্য কোন অপরাধ আছে বলে আমি মনে করি না। শিক্ষকের দ্বারা যদি হয় ছাত্রী ধর্ষন, এ জাতির মান সম্মান থাকবে কতক্ষন। বিশ্বের শেষ্ট আদালত মানুষের বিবেক। জ্ঞানপাপীদের কি কোন বিবেক নেই। টাকায় কি তাদের বিবেক অন্ধকার জগতে চলে গেছে। দেশ জাতি ও সমাজ জ্ঞানপাপীদের ঘৃণা করে, এর থেকে তাদের শিক্ষা গ্রহন করা উচিৎ । ছোট বড় যে যে পরিমান অন্যায় ও দুর্নীতি করেছে আজ পর্যন্ত কেহ কিন্তু ক্ষমা পাইনি, আর ভবিষৎতেও কেহ ক্ষমা পাইবে বলে মনে হয় না। দেশবাসীর সম্মুখে দন্ডায়মান হওয়ার আগেই নিজের বিবেককে জাগ্রত করা উচিৎ বলে মনেকরি । ঘুষ দুর্নীতি মাদক সমাজ থেকে নির্মূল হোক । দেশবাসী যেন অন্যায় অত্যাচার জুলুম নির্যাতন থেকে নিরাপদ থাকতে পারে । সেই সাথে সকল প্রকার দুর্নীতি মুক্ত হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাসা দেশবাসী কামনা করে। এদেশের শিক্ষিত সমাজ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবি, জ্ঞানী গুনী, সচেতন মহাল সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে দেশ প্রেম জাগ্রত হোক। আমি সেই প্রত্যাসা করি।