পুষ্টিগুণে ঠাসা কাঁঠালের উপকারিতা

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

গ্রীষ্মের অন্যতম আকর্ষণীয় ফল হলো কাঁঠাল। মধু মাসের রসালো ফল কাঁঠাল। সুমিষ্ট ফলটির মৌসুম থাকবে আর মাত্র কয়েকদিন। সুমিষ্ট এই ফলটি পুষ্টিগুণে ঠাসা।

ফলের মধ্যে আকৃতিতে বড় কাঁঠাল। কাঁচা কাঁঠাল দেখতে সবুজ মনোরম, পাকা সোনালী মনোরম। আল্লাহ তাআলার এই দানগুলো নিয়ে চিন্তা করলে মাথা নত না হয়ে পারে না।

কাঁঠালে পুষ্টির উপাদান

প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে শক্তি ৩৯৭ কিলোক্যালরি, খাদ্য-আঁশ ২.০০ গ্রাম, চিনি ১৯.০৮ গ্রাম, স্নেহ- ০৬৪ গ্রাম, প্রোটিন ১.৭২ গ্রাম, ভিটামিন এ ৫ মাইক্রোগ্রাম, ভিটা ক্যারোটিন ৬১ মাইক্রোগ্রাম, লুটিন জিয়াক্সানথিন ১৫৭ মাইক্রোগ্রাম, থায়ামিন (বি১) ০.১০৫ মিঃগ্রাম, রিবোফ্লাবিন (বি২) ০.৫৫ মিঃগ্রাম, নায়াসিন (বি৩) ০.৯২ মিঃগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.২৩৫ মিঃগ্রাম, ভিটামিন (বি৬) ০.৩২৯ মিঃগ্রাম, ফোলেট (বি৯) ২৪ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ১৩.৮ মিঃগ্রাম, ভিটামিন ই ০.৩৪ মিঃগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৪ মিঃগ্রাম, লৌহ ০.২৩ মিঃগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৯ মিঃগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ০.০৪৩ মিঃগ্রাম, ফসফরাস ২১ মিঃগ্রাম, পটাসিয়াম ৪৪৮ মিঃগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিঃগ্রাম, জিংক ০.১৩ মিঃগ্রাম ও অন্যান্য।

তো এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁঠালের উপকারিতা সম্পর্কে-

(১) রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কাঁঠাল।

(২) বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস কাঁঠাল। এসব উপাদান হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

(৩) শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কাঁঠাল।

(৪) কাঁঠালে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

(৫) ক্যানসারের মতো অসুখের সম্ভাবনা কমে কাঁঠাল নিয়মিত খেলে।

(৬) কম ক্যালোরি থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

(৭) কাঁঠালে থাকা ফাইবার হজমের গণ্ডগোল দূর করে।

(৮) ত্বক ভালো রাখতেও জুড়ি নেই ফলটির।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)