তালায় শিশু কন্যাকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ
তালা প্রতিনিধি:
তালায় জমি জমা সংক্রান্ত জেরে তিন বছরের ছোট শিশুকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করার অভিযোগ উঠেছে।ঘটনার সূত্রে জানা যায়,তালা থানাধীন আটারই গ্রামের মোঃ আতিয়ার রহমানের সাথে একই গ্রামের জিয়ার সাথে দীর্ঘদিন যাবত একটা জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছে।
তার ধারাবাহিকতায় একটি শিশু ও তার মা মনজিলা বেগমকে মোটা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে গত ইং ৩০ মে তারিখে শিশুর মাতা মনজিলা বেগম বাদি হয়ে তালা থানায় একটি ধর্ষণের চেষ্টা মিথ্যা মামলা দায়েল করেন। একই দিন তালা থানা পুলিশ আতিয়ারকে গ্রেফতার করেন।জানা যায়, আটারই গ্রামের রহিম গাজীর কাছ থেকে অল্প টাকায় জমি জিয়া বন্ধক রাখেন।রহিম গাজী সেই জমি ছাড়িয়ে আতিয়ার রহমানের কাছে কিছু দিন আগে জমি বন্ধক রাখেন।জমি বন্ধক রাখার সময় জিয়া আতিয়ারকে জমি না রাখার জন্য নিষেধ করেন এবং বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন । কিন্তু আতিয়ার সেই কথা না রাখায় জিয়া ক্ষিপ্ত হন এবং বিভিন্ন সময় নানান ভাবে তিনি বলেন মোটা অংকের টাকা ক্ষতি সাধন করে দিবেন বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে ।জিয়া বলেন আমি তোকে সোজা হয়ে থাকতে দিবো না। তোকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করবো।তুই কিছুদিন পরে বুঝতে পারবি তোকে কি করি।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে শিশুর মাতা ও জিয়ার সাথে গোপন সম্পর্ক রয়েছে।তাই ফাদ হিসাবে মনজিলা বেগমকে ম্যানেজ করে তার কন্যাকে দিয়ে এমন টোপ দিয়েছেন।এবং আতিয়ার রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আতিয়ার রহমানের পুত্র তৈয়েবুর ইসলাম বলেন, বন্ধক রাখা জমি জমার একটা বিষয় নিয়ে কিছু দিন যাবত বিরোধ চলছে।আমার ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন সময়ে আতিয়ার হুমকি ধামকি সহ নানান ক্ষতি করার কতা বলে বেড়ায়।ঐ সূত্র ধরেই৷ আমার বাবাকে ফাসিয়ে দিয়েছে।
অন্যাদিকে শিশু কন্যার পিতা মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোন অবগত নেই।আমি অসুস্থ জিয়া আমাকে ও আমার স্ত্রী কে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে সঙ্গে করে নিয়ে থানায় মামলা করিয়েছেন।
এবিষয়ে জিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন নম্বর টি বন্ধ বলে
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলা দায়ে আতিয়ার রহমানকে আটক করা হয়েছে।