নানার ধর্ষণে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাতনি

ডেস্ক নিউজ:
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ছয়মাস আগে নানার ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নানা ফজলুল হকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বিচার চেয়ে আইনি সহায়তা চেয়েছেন ওই ছাত্রী ও তার পরিবার। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের সাত্তারকান্দি চরপাড়া গ্রামে। অভিযুক্ত ফজুলল হক একই গ্রামের মৃত জহুরুল হকের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। এ ঘটনা জানাজানি হলে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ফজলুল হকের পক্ষে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনাটি সাত লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী জানান, অভিযুক্ত ফজুলল হক সম্পর্কে প্রতিবেশী নানা। তিনি বিভিন্ন সময়ে চিপস, চকলেট খাইয়ে ও টাকার লোভ দেখিয়ে নানা প্রলোভনে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ঘটনাটি পরিবার বা অন্য কাউকে না বলার জন্য মেরে ফেলার হুমকি দেয় ফজলুল হক। ভয়ে কিশোরী এ নিয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত ফজলুল হক তাকে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বর্তমানে সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা না করার হুমকিতে ওই ছাত্রী ও তার বাবা-মা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চায় কিশোরী।

কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়েটি পাশের একটি হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। একদম শিশু বাচ্চা। ফজলুল হক আমার ভাইয়ের সম্পর্কে উকিল শ্বশুর। সেই সুবাদে আমার মেয়ের সম্পর্কে নানা হওয়ায় আমাদের বাড়িতে তার যাতায়াত। আমি কাজকর্মে বাড়ির বাইরে যাই। ওর মাও বাড়ির বাইরে কাজে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে ফজলুল হক আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।

যদুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মীর ফিরোজ আহমেদ জানান, ঘটনা সত্যি। আজকেই শুনেছি। মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

ধনবাড়ী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)