পরিবারসহ দেশেই বাইরে বেনজীর আহমেদ
ডেস্ক নিউজ:
পুরো পরিবার মিলে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর দেশের সর্বত্র তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি তার সব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেন আদালত। প্রথমে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও পরবর্তীতে নীরব থাকেন। দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) তাকে ও তার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে সেই বেনজীর আহমেদ আসলে কোথায়? গত কয়েকদিন ধরে তার কোনো খোঁজও মিলছে না। তবে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বর্তমানে পরিবার নিয়ে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন বেনজীর আহমেদ।
এদিকে সাবেক এই আইজিপির বিদেশে কী পরিমাণ সম্পদ আছে, তার অনুসন্ধানও করছে দুদক। সংস্থাটির আইনজীবীরা জানান, বেনজীরের নামে আরো কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ আছে কি না, তার খোঁজ নেয়া হচ্ছে এবং থাকলে সেগুলোর বিষয়েও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, তিনি বা তার পরিবারের কেউ যেন দেশের বাইরে যেতে না পারে, সে বিষয়েও আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হবে।
গত ২৬ মে আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানে ৪টি ফ্লাট জব্দের আদেশ দেন। গত ২৩ মে তাদের নামীয় ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়।
দুদক সূত্র জানায়, আদালতের আদেশের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চোখে ধুলো দিয়ে যেন সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর ও ব্যাংক থেকে যেন অর্থ উত্তোলন করতে না পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি অফিসে আদালতের আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে।
এই পর্যায়ে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের নামীয় সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর করতে গেলে সরকারের সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো রেকর্ডভিত্তিক সম্পদ যাচাই করে আদালতের আদেশ পরিপালন করবে। তাতে জব্দ ও অবরুদ্ধ সম্পদ বেহাত হওয়ার কোনো ধরনের সুযোগ থাকবে না।
দুদক গত ২২ এপ্রিল বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে।