প্রচার শেষ, তৃতীয় ধাপে ৯০ উপজেলায় ভোট আগামীকাল
ডেস্ক নিউজ:
সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের আনুষ্ঠানিক প্রচার। আজ মঙ্গলবার ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হবে নির্বাচনী সরঞ্জাম। আর আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ হবে ৯০টি উপজেলায়।
এই ধাপের নির্বাচনে মোট ১০৯টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ১৯ উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। স্থগিত হওয়া ১৯ উপজেলার নির্বাচনের তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্বাচনি এলাকায় মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে প্রতি কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। আর দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ থেকে ২১ জন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের থাকবে। পাশাপাশি বিজিবিও দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি ইউনিয়নে থাকবে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে, বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানান, তৃতীয় ধাপের ১৯টি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
ভোট স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো- বাগেরহাটের শরনখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা। খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া। বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া। পটুয়াখালীর সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া। ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন। ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া। বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা।
দেশে চারধাপের উপজেলা নির্বাচন শুরু হয় ৮ মে থেকে। ৫ জুন পর্যন্ত হবে নির্বাচন।