যেসব ফল খেলে বাড়তে পারে ওজন
স্বাস্হ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক:
ফল শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীর ভালো রাখতে রোজ ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ওজন কমাতেও শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফলমূল খেতে উৎসাহ দেওয়া হয়। তবে সব ফলই কিন্তু ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে না। তাতেও থাকে ওজন বাড়ার ঝুঁকি।
ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে বেশি পরিমাণ ফল রাখার কথা বলে থাকেন নিউট্রিশনিস্টরা। কিন্তু ফল স্বাস্থ্যকর হলেও এমন কিছু ফল রয়েছে, যেগুলোতে শর্করার মাত্রা বেশি। তাই ওজন কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় তাই এসব ফল বেশি না খাওয়াই ভালো। যেমন-
কলা: শরীরে ভেতর থেকে শক্তি জোগায় কলা। তবে দিনে একটির বেশি কলা খেলে ওজন বাড়তে পারে। কারণ কলায় ক্যালোরির পরিমাণ ১৫০। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৫। এ কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে বেশি কলা না খাওয়াই ভালো।
কাঁঠাল: কাঁঠালও কিন্তু বেশ মিষ্টি ফল। তাই এক দিনে ৪-৫ কোয়ার বেশি কাঁঠাল খাবেন না।
আম: অনেকেরই প্রিয় ফল আম। আম খেলেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এক কাপ আমে প্রায় ৯৯ ক্যালরি থাকে। এতে ফাইবারের পরিমাণও বেশি থাকে। কলায় ভরপুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। ওজন কমাতে চাইলে তাই বেশি আম না খাওয়াই ভাল।
আনারস: অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আনারস যত্ন নেয় শরীরের। এতে জলের পরিমাণও অনেকটা বেশি। শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে আনারস দারুণ কার্যকর। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কম নেই আনারসে। বেশি আনারস খেলে তাই ওজন বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
মিষ্টি লিচু: মিষ্টি লিচু খেলেও ওজন বাড়ে। তাই সারা দিনে চার-পাঁচটার বেশি লিচু খাওয়া যাবে না। তবে টক লিচু হলে দশটা পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে।
তরমুজ: তরমুজ খেতে চাইলে পরিমাণটা দেড় শ-দুই শ গ্রামের ভেতরেই সীমাবদ্ধ রাখুন, যদিও এতে পর্যাপ্ত আঁশ এবং পানি আছে।
পাকা পেঁপে: অতিরিক্ত পেকে যাওয়া পেঁপে এড়িয়ে চলুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পানসে স্বাদের পেঁপে বেছে নিন।
লাল আপেল: লাল আপেল খেতে পারেন সর্বোচ্চ অর্ধেকটা। লাল আপেলের চাইতে সবুজ আপেল খাওয়া ভালো। খেতে একটু টক হলেও এই আপেল একটু বেশি পরিমাণে খাবার সুযোগ আছে।