মেঘনার পানিতে এখনো ভাসছে মানুষ-ঘরবাড়ি
ডেস্ক নিউজ:
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে মেঘনার পানিতে এখনো ভাসছে রামগতি ও কমলনগরের নিন্মাঞ্চলের মানুষ। তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি। ফসলি জমি ও মাছের ঘের। ডুবে গেছে রাস্তা ঘাটসহ বেশ কয়েকটি হাট বাজার। রাস্তা ডুবে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চলছে না কোনো ধরনের গাড়ি। পানির নিচে সয়াবিন ও আমন ধান। লোকালয়ে পানি ঢুকে এখনো বিপাকে ভুক্তভোগী মানুষ। গরুর গোয়াল ঘর ডুবে যাওয়ায় প্রধান সড়কের পাশে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে গবাদি পশু। সামনে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা গরু নিয়ে সবচেয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা।
নিন্মাঞ্চল থেকে মেঘনার জোয়ারের পানি না নামায় চিন্তিত সবাই। তবে বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়ার কারণে পানি ঢুকছে বলে জানান তারা।
রামগতি ও কমলনগরের মেঘনা তীরবর্তী এলাকা বর্তমানে ৬ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে। রাস্তার পাশের দোকান ঘর গুলোও ডুবে গেছে। অনেকের পালিত ছাগল বাঁচাতে নিয়ে আসেন রাস্তার দিকে। সেখানেও ঠাঁই নেই। এক টুকরো কাঠের ওপর দাঁড়িয়ে রেখে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। চারদিকে থই থই পানি। ছোট ছোট ঘর পানির নিচে আর বড় ঘরগুলো এখন ভাসছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বিগত সময়ের মধ্যে এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি তারা। যেমনটি ভুগছেন এখন। কোথায় গিয়ে কোথায় থাকবে সে স্থানটুকু নেই তাদের। তবে আশ্রয় কেন্দ্রেও যেতে চান না এসব মানুষ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, জোয়ারের পানি নেমে গেলে অনেকটাই সমস্যা কেটে যাবে। মেঘনায় এখনো পানির উত্তাল ঢেউ, উপরের দিক থেকে পানি যত চেপে নিন্মাঞ্চলে আসবে ততই পানি প্রবেশ করবে। তবে এসব পানি বেশি স্থায়ী হবে না বলে জানান তারা।