আফগানিস্তানে সেনা অভিযানে ৩০ সন্ত্রাসী নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত ৩০ দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে অন্তত ৩০ জন আফগান সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সোমবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে।
চলমান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে বিবৃতিতে পাকিস্তানের আইএসপিআর বলেছে, সামরিক বাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান সীমান্ত প্রদেশের কিছু অংশের ওপর নজর রাখছে। এক সপ্তাহ আগে একটি অভিযানে সেনাবাহিনীর একজন মেজর নিহত হয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
‘কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে’ কাবুলের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে সেনা বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী আশা করছে যে তালেবান সরকার তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে সন্ত্রাসীদের আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না।
পাকিস্তানের এই দাবির বিষয়ে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান বাহিনীর তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযোগ এনেছে এবং সেসব প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান সরকার। তালেবান সরকারের পরিষ্কার জবাব প্রতিবেশী দেশ বা এর বাইরে কাউকে হুমকি দেয়ার জন্য তারা কাউকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিচ্ছে না।
এদিকে পাকিস্তান বরাবরই বলে আসছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপির পলাতক কমান্ডার ও যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ‘নিরাপদ স্বর্গের’ সুবিধা নিয়ে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, পাকিস্তানে টিটিপি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় আছে এবং নিজেদের কার্যক্রমে তারা এমন সব উৎস থেকে সহায়তা পাচ্ছে, যাদের সঙ্গে তাদের মূল আদর্শে সাদৃশ্য রয়েছে।
আফগানিস্তানে আল-কায়েদা কর্মীদের সাথে তালিবানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আল-কায়েদা নেতারা এখন তালেবানের প্রশাসনিক কাঠামোর অংশ এবং আফগানিস্তানে তাদের নিজস্ব প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করছে।
সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা