আশাশুনিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাড়ি ঘর ভাংচুর  আহত-৫

আশাশুনি প্রতিনিধিঃ  পরিষদ নির্বাচন  পরবর্তী সহিংসতায়  সাতক্ষীরার আশাশুনিতে উপজেলায় ২০ টি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।এসময়  আহত হয়েছেন ৫ জন। আহতদের মধ্যে ২ জনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশএখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে ঘটনা ঘটে।এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার।পরাজিত চেয়ারম্যানপ্রার্থী শাহ নেওয়াজ ডালিম জানান, বিজয়ী  চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের কর্মী পিরোজপুর গ্রামের মিলন পারভেজের নেতৃত্বে পিরোজপুর গ্রামের রিপন হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে তারা । পরে একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম,সাইফুল ইসলামসহ পিরোজপুর গ্রামের কমপক্ষে ৫টি বাড়ি ভাংচুর তারা।পরে   বুধবার সকালে বিচ্ছিন্ন হামলায় ভাঙচুর হয় গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম,কাদাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সরকার দ্বীপ,তেতুলিয়া গ্রামের সাইফুর রহমান,লিটন সরদার, প্রতাপ নগরের আব্দুস সামাদসহ কমপক্ষে ২০ জনের  বাড়ি । এছাড়া প্রতিপক্ষের হাতুড়ি পেটায় গুরুতর আহতহয়েছেন চেউটিয়া গ্রামের আনিসুর রহমান ও তোয়ারডাঙ্গা গ্রামের ইমরান হোসেনসহ কমপক্ষে ৫ জন।অভিযোগ অস্বীকার করে  বিজয়ী প্রার্থী এবিএম মোস্তাকিমের জানান ,এটি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নয়,  মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ। এছাড়া  পরাজিত প্রার্থী  ডালিমের কর্মী সমর্থকরা গুনাকরকাটি গ্রামের মোশাররফ হোসেন, গদাইপুর গ্রামের আব্দুসসামাদ ও  ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ সানার বামন ডাঙ্গাস্থ বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ তোলেন।সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, বর্তমানে   পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় পিরোজপুর গ্রামের আব্দুর রহমান,আবুল কালাম আযাদ, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনায় আলাদা আলাদ মামলা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)