ওজন নিয়ন্ত্রণে ডুমুর, দূর করে পেটের সমস্যা
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
অযত্ন আর অবহেলায় বেড়ে ওঠা একটি ফলের নাম ডুমুর। ডুমুরের ইংরেজি নাম হলো Fig tree। আর এর বৈজ্ঞানিক নামে Ficus racemosa। এটি মোরাসিয়ে গোত্রভুক্ত ৮৫০ টিরও অধিক কাঠ জাতীয় গাছের প্রজাতিবিশেষ।
ডুমুরের পাতা খসখসে হয়। গ্রামেগঞ্জে যেখানে সেখানে ডুমুরের গাছ দেখা যায়। ডুমুর ফল নরম ও মিষ্টি হয়। বাংলাদেশের বাইরে যারা পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে থাকেন, তারা শপিং মলে পেয়ে যাবেন এই ফল। ডুমুরের আধিপত্য মূলত তরকারিতে। এই ফলে আছে অজানা অনেক পুষ্টিগুণ।
ডুমুর খেলে আরো কী উপকার পাওয়া যায়, জেনে নেয়া যাক:
১. ডুমুরের পাতায় আছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান। যা রোগীকে ইনসুলিন গ্রহণের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডুমুর পাতার রস খেতে পারেন। ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীলতা ডায়াবেটিক রোগীর জন্য ডুমুর খুবই উপকারী।
২. ডুমুরে উপস্থিত পেকটিন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যারা নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ডুমুর খেতে পারেন।
৩. ডুমুর ও ডুমুরের পাতায় এমন একটি উপাদান আছে যা মানব দেহের ট্রাইগ্লিসারাইড লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্ট সুস্থ থাকে। এ ছাড়া ডুমুরে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ম্যাংগানিজ।
৪. খাদ্য আঁশসমৃদ্ধ ডুমুর নিয়মিত খাওয়ার ফলে ৩৪ শতাংশ নারীর মধ্যে স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমে। নিয়মিত ডুমুর খেলে এ সম্ভাবনাকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব বলে দাবি ওই গবেষকদের।
৫. মানবদেহে পটাশিয়ামের জোগান দিতে ডুমুরের জুড়ি নেই। ফল হিসেবে খাবার অভ্যাস না থাকলেও মাঝে মাঝে সবজি হিসেবে রাখতে পারেন খাবার তালিকায়।
৬. ক্যালসিয়ামে রয়েছে হাড় মজবুত এবং ক্ষয়রোধ করার দারুণ কার্যকর ক্ষমতা। আর প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামের নির্ভরযোগ্য একটি উৎসের নাম চির পরিচিত ডুমুর।
৭. পেটের সমস্যা দূর করতে ডুমুর খুব ভালো কাজ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে ডুমুর। এ ছাড়াও দুর্বলতায় ভোগেন এ রকম ব্যক্তির জন্য ডুমুর উপকারী। পিত্ত ঠান্ডা করতেও বেশ উপযোগী।
৮. কাটা ছেড়া বা পোকামাকড়ের কামড়ে জ্বালা পোড়া রোধে ডুমুরের রস ব্যবহার করলে উপশম হবে। ব্রণ সারাতেও দারুণ কার্যকর।