আনারস সুস্থ রাখে ভিটামিন জোগায়
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক:
সুমিষ্ট রসালো ফল আনারস পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই সময়ে আনারসের মৌ-মৌ ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে হাট-বাজারে। প্রাকৃতিকভাবে আষাঢ়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শ্রাবণের শেষান্তে আনারস পাকার মৌসুম। তবে সারা বছরই অল্পস্বল্প আনারস বাজারে পাওয়া যায়। তাই আনারসের মাধ্যমেই শরীরের নানা পুষ্টিগত প্রয়োজনীয়তা মেটানো সম্ভব।
আনারসে আঁশ ও ক্যালোরি ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম থাকে। যা মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী। এটি কোলেস্টেরল ও চর্বিমুক্ত। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ফলের জুড়ি নেই।
আনারসের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
১. পুষ্টির ঘাটতি পূরণ : আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এই প্রয়োজনীয় উপাদান আমাদের শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. হজমশক্তি বৃদ্ধি : হজমশক্তি বাড়াতে আনারসের তুলনা নেই। আনারসে প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে যা হজমশক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে তাই বদহজম বা হজমজনিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আনারস খাওয়া যেতে পারে ।
৩. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : আনারসে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা : আনারসে বেশি পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে। এটি কম ফ্যাটযুক্ত হওয়ায় বেশি পরিমাণে আনারস খেলে বা আনারসের জুস পান করলে তা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
৫. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা : দাঁত ও মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে আনারস। এই ফল খেলে দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ কম হয় ফলে দাঁত ঠিক থাকে। তাই দাঁত মাড়ির সুরক্ষায় আনারস খাওয়া যেতে পারে।
৬. চোখের যত্নে আনারস : চোখের রেটিনা নষ্টকারী রোগ ‘ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন’ রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে আনারস। এতে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
৭. ত্বকের যত্ন : আনারসে বেশি পরিমাণে ক্যালরি থাকে যা শরীরে এনার্জির জোগান দেয়। এতে থাকা প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। এছাড়া দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।