বিকল্প খুঁজে পায়নি আইসিসি
স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। কুড়ি ওভারের এই টুর্নামেন্টের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ লেখবে বাংলাদেশ। এই সিরিজটি খেলতে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে যাওয়ার পর অবশ্য জানা গেল ভিন্ন কথা। দেশ ছাড়ার আগে শান্তরা জানতেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ম্যাচ তিনটিই। কিন্তু গতকাল ভোরে তারা হিউস্টনে পৌঁছানোর আগেই বিশ্বকাপের অফিশিয়াল ওয়ার্ম আপের সূচি ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে, একই দলের সঙ্গে ম্যাচসংখ্যা আরেকটি বেড়ে হয়ে গেছে চারটি।২১, ২৩ ও ২৫ মে ম্যাচগুলো হবে হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে। এর তিন দিনের মধ্যেই তাদের জন্য নির্ধারিত দুটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচের প্রথমটিতেই প্রতিপক্ষ সেই মার্কিনিরাই। এই ম্যাচটি হবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের ভেন্যু ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সেরে নেয়ার পর আবার যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে অবশ্য আগ্রহী ছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিকল্প যে দলের সঙ্গে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলাতে চেয়েছিল, তাতেও সম্মতি দেয়নি বিসিবি। আইসিসি তৃতীয় আর কোনো দলকে না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই খেলতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছিলাম না যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলতে। যেহেতু এর আগেই আমরা ওদের সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলছি। এরপর আমাদের নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে খেলার প্রস্তুাব দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও আমরা রাজি হইনি। আমরা ওদের সঙ্গে খেলতে না চাওয়ায় আইসিসি চেষ্টা করেছে অন্য কোনো দলের সঙ্গে খেলার ব্যবস্থা করা যায় কি না। সেটি না পারায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই খেলতে হচ্ছে।জালাল আরো বলেন, ‘একটি টি-২০ ম্যাচই তো। কতক্ষণের আর ব্যাপার! অসুবিধা নেই। কারণ ম্যাচটি আমরা খেলব বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম ম্যাচের (৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) ভেন্যুতে। কাজেই ওখানকার উইকেট নিয়ে আগেই স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে যাবে আমাদের দল।বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়ার্ম আপ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভারত। আগামী ১ জুন হবে সেই ম্যাচ। নিউ ইয়র্কের নতুন নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হবে বলে নানা মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও আইসিসি এখনো এই ম্যাচের ভেন্যু জানায়নি। তবে এই ম্যাচটিও যুক্তরাষ্ট্রেই হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।