মিষ্টি কুমড়া কেন খাবেন
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মিষ্টি কুমড়া ( Pumpkin) এটি একটি বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cucurbita maxima।মিষ্টি কুমড়া আমাদের দেশে পরিচিত একটি সবজি। এটি দেখতে যতটা সুন্দর, এর উপকারিতাও ততটাই বেশি।
ভাজা, ভাজি, ভর্তা কিংবা ঝোল করে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যায়। এদের পাতা বেশ চওড়া হাতের পাতার মত। জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁ-আশ বা এঁটেল দোঁ-আশ মাটি এর চাষাবাদের জন্য উত্তম। মিষ্টি কুমড়ার জন্য মাটির সর্বোত্তম অম্ল-ক্ষারত্ব ৫.৫-৬.৮।
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বছরের যে কোনো সময় মিষ্টি কুমড়ার বীজ বোনা যায়। শীতকালীন ফসলের জন্য অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বীজ বোনার উপযুক্ত সময় তবে বীজ উৎপাদনের জন্য নভেম্বরের মধ্যভাগে বীজ বপন করা উত্তম। ফুল কলমি ফুলের মতো।
মিষ্টিকুমড়ার আকার পেটমোটা গোল এবং পাকা অবস্থায় এর ভেতরের অংশ উজ্জ্বল কমলা বর্ণের হয়ে থাকে। এতে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন আছে। এই কুমড়া পাকা থেকে কাঁচা বেশি উপকারী। মিষ্টি কুমড়া খাওয়া ছাড়াও ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পুষ্টিগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে খাদ্যশক্তি- ৪১ কিলোক্যালরি, আমিষ- ১.৪ গ্রাম, শর্করা- ৪.৫ গ্রাম, চর্বি- ০.৫ গ্রাম, খনিজ লবণ- ০.৭ গ্রাম, ভিটামিন বি- ০.৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি- ২৬ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম- ৪৮ মিলিগ্রাম, কোলেস্টেরল- .০৬ মিলিগ্রাম, লৌহ- ০.৭ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন- ৭২০০ মাইক্রোগ্রাম।
মিষ্টি কুমড়ার ঔষধি ব্যবহার:
১. মিষ্টি কুমড়ার গুঁড়ো দুধ ও মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে প্লীহা ও যকৃৎ স্বাভাবিক হয়।
২. মিষ্টি কুমড়ার রস চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিত্তশূল ভালো হয়।
৩. মিষ্টি কুমড়ার চূর্ণ ঘিয়ে রান্না করে খেলে মূত্ররোগ ভালো হয়।
৪. মিষ্টি কুমড়া দিয়ে হালুয়া বানিয়ে খেলে দৈহিক পুষ্টি হয়।
৫. মিষ্টি কুমড়ার চূর্ণ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শুক্র বৃদ্ধি হয়।
৬. চুলপড়া কমাতে ও চর্মরোগ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া সহায়তা করে।
৭. মিষ্টি কুমড়ায় ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮. মিষ্টি কুমড়া খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৯. মিষ্টি কুমড়া খেলে ঠান্ডার সমস্যা, অ্যালার্জির সমস্যা, সর্দি-কাশি ভালো হয়।