১২ শিক্ষকের স্কুলে দুই পরীক্ষার্থী, পাস করেনি কেউ

ডেস্ক নিউজ:
মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় একমাত্র বিদ্যালয় হিসেবে শতভাগ অকৃতকার্যের তালিকায় রয়েছে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ১২ জন শিক্ষকের এ বিদ্যালয়টি থেকে মাত্র দুজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তারাও অকৃতকার্য হয়েছেন। তবে কতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এ তথ্য জানেন না খোদ সহকারী প্রধান শিক্ষক। পরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

রোববার (১২ মে) এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা যায়। ২০২৩ সালে ওই বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করতে পারেননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করলেও বিদ্যালয়টি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি।

তবে শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে হওয়ায় বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের জন্য ২০২১ সালের অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদন পায়। যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১২ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী রয়েছেন। বিদ্যালয়টি একাডেমিক স্বীকৃতি পায় ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে। তবে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানাতে পারেননি শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়টি বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। মাঝে মধ্যে দুই একজন শিক্ষক-কর্মচারী আসলেও শিক্ষার্থীর দেখা মেলে না।

এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হাবিব সরকারের মোবাইলে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী কতজন ছিলেন এটা তার জানা নেই। বিষয়টি জেনে পরে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন।

উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বানু বলেন, উপজেলায় মাত্র একটি বিদ্যালয়ে ফলাফলের শতকরা হার শূন্য। এবার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দুইজন পরীক্ষা দিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, এ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করতে পারেনি বিষয়টি দুঃখজনক। এখানে শিক্ষার্থী এত কম আর কেউ পাস করতে পারেনি কেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)