ছোলার নানা উপকারিতা
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
উপকারী গাছ অর্জুনছোলা একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cicer arietinum। লেগুমিনোসি বা কালাই পরিবারের বর্ষজীবী গাছ। এটি প্রোটিনে সমৃদ্ধ। ছোলার গাছ ২০ থেকে ৫০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
ছোলার কাণ্ডের দুইপাশে পালকের মতো পাতা থাকে। একটি বীজপত্রে দুই থেকে তিনটি করে ডালবীজ থাকে। ফুলগুলো সাদা, বা কখনও কখনও লালচে নীল রঙের হয়। ক্রান্তীয় বা উপক্রান্তীয় জলবায়ু ও বাৎসরিক ৪০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টিপাত ছোলাগাছের স্বাভাবিক ফলনের জন্য জরুরি। ছোলা মূলত দুই ধরনের – দেশী ছোলা এবং কাবুলি ছোলা।
স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে ছোলা বা বুটের বেশ সুনাম। এটা মুখরোচকও বটে। শক্তি দেয়। মার্চ মাসে ছোলার ফুল হয় এবং জুন মাসে তা থেকে ফল হয়। ছোলা বাংলাদেশ সহ মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম এশিয়া, ভারতীয় উপমহাদেশে, ইরান, চিলি ও মেক্সিকোতে এর চাষ করা হয়ে থাকে। ছোলা খাওয়ার পাশাপাশি ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পুষ্টিগুণ:
ছোলা খুবই পুষ্টিকর। কারণ ছোলায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ।
ছোলার স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. শ্বাসকষ্ট হলে খোসাসহ ছোলা সেদ্ধ পানি প্রতিদিন এক কাপ করে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
২. কোনো কারণে শরীরের শক্তি কমে যাচ্ছে তাহলে প্রতিদিন ছোলার ছাতু খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন উপকার পাবেন।
৩. দাঁতের মারি ফুলে গেলে ছোলা সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করবেন দেখবেন ব্যথা কমে গেছে।
৪. যদি বদহজম হয়, বুক জ্বালা করে ও পায়খানা পরিষ্কার না হয় তাহলে ছোলা শাক বেটে নিয়ে তার সাথে আধ গ্রাম বিট লবণ চূর্ণ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫. ব্রণ বা মেছতা হলে কিছু ছোলা ভিজিয়ে সেই ছোলা বেটে নিয়ে প্রতিদিন মেখে ব্যবহার করলে উপশম পাওয়া যাবে।
৬. ছোলা নিয়মিত খেলে হৃদ্রোগ থেকে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯ শতাংশ কমে যায়।
৭. নিয়মিত ছোলা খেলে কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি কম থাকে।