লালশাকের পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ!
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
লালশাক (Red amaramth) এটি একটি বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Amaranthus oleraceus। লালশাক অনেক পরিচিত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু শাক। এই শাকের রং লাল এবং রান্নার পর এটি থেকে লাল রং বের হতে দেখা যায়। এই গাছ ৬ ইঞ্চি থেকে ১২ ইঞ্চি হয়। গাছের কাণ্ড থেকে ভেঙে নিয়ে আসার পর ভাঙা কাণ্ড হতে পুনরায় নতুন গাছ গজায়।
লালশাক কয়েকটি জাত রয়েছে; যেমন: আলতা পেটি ২০, রক্ত লাল, বারি লালশাক ১, ললিতা, রক্তরাঙ্গা, পিংকি কুইন, রক্তজবা ও স্থানীয় জাত। ভাদ্র-পৌষ পর্যন্ত লালশাক বেশি চাষ করা হয়। এই শাক চাষের জন্য বেলে দোঁ-আশ থেকে এঁটেল দোঁ-আশ মাটি এবং যেখানে পানি জমে না এমন জমিই সবচেয়ে উপযোগী। বীজ বোনার ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে শাক খাওয়া যায়। লালশাকের মূল,পাতা, ডাল সবই ঔষধ হিসেবে কাজে লাগে।
পুষ্টিগুণ:
লালশাকের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম লালশাকে আছে ক্যালসিয়াম ৩৭৪ মি. গ্রা., শর্করা ৪.৯৬ মি. গ্রা., প্রোটিন ৫.৩৪ মি. গ্রা., স্নেহ ০.১৪ মি. গ্রা., ভিটামিন বি১ ০.১০ মি. গ্রা., ভিটামিন বি২ ০.১৩ মি. গ্রা., ভিটামিন সি ৪২.৯০ মি. গ্রা., ক্যারোটিন ১১.৯৪ মি. গ্রা., অন্যান্য খনিজ ১.০৬ মি. গ্রা., খাদ্য শক্তি ৪৩ কিলোক্যালরি।
ঔষধিগুণ:
১. লালশাকে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্যে করে।
২. লালশাক খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
৩. প্রতিদিন লালশাক খেলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে।
৪. প্রতিদিন সকালে লালশাক পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি খেলে কিডনি সমস্যা দূর হয়।
৫. লালশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির করতে সাহায্য করে।
৬. লালশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যার ফলে লালশাক খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়।
৭. দাঁত ও হাড় মজবুত রাখতে লালশাক অনেক উপকারী।