সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫সংসদ সদস্যকে বসার আহবান

স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে পাঁচজন সংসদ সদস্যকে আগামী বাজেট অধিবেশনের পূর্বে এক টেবিলে বসার আহবান জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি।
শনিবার (৪ মে) সকালে সংগঠনের এক সভায় এই আহবান জানানো হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল।সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল ওয়াহেদ, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, অ্যাড. আজাহারুল ইসলাম, সুধাংশু শেখর সরকার, মাধব চন্দ্র দত্ত, শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাড. আল মাহামুদ পলাশ, কমরেড আবুল হোসেন, নিত্যা নন্দ সরকার, আলি নুর খান বাবলু, আবু তালেব মোল্লা, ফরিদা আক্তার বিউটি, আব্দুস সামাদ, আদিত্য মল্লিক, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, রিয়াজুল ইসলাম, জহুরুল কবির, মো: মুনসুর রহমান, কাজী আকতারুজ্জামান মহব্বত, মো: মোসিম বিল্লাহ, আল মাহামুদ প্রমুখ।সভায় জেলা নাগরিক কমিটির ২১ দফা দাবিসহ বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ইতোমধ্যে জেলার সংসদ সদস্যগণ জাতীয় সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংসদ সদস্যগণ ইতোমধ্যে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যা জেলার মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে উন্নয়ন কার্যক্রম আশানুরূপভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে না।
আরো বলা হয়, গত ১৫ বছরে সারাদেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয়েছে তার ছোয়া সাতক্ষীরাতেও পড়েছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক ও কপোতাক্ষ পাড়ের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ ছোট বড় বহু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বসন্তপুর নৌবন্দর, সাতক্ষীরা অর্থনৈতিক অঞ্চল, সাতক্ষীরা ক্রীড়া কমপ্লেক্স, ভোমরা-সাতক্ষীরা-নাভারণ সিক্স লেন সড়ক, সাতক্ষীরা-ভেটখালী ফোর লেন সড়কসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং সেগুলো বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরাকে ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলায় উন্নীতকরণে ইতোমধ্যে পাটকেলঘাটা উপজেলা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।কিন্তু অর্থবরাদ্দ না দেওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হচ্ছে না।
সব শেষে বলা হয়, ২০১০ সালের ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার আইলা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে শ্যামনগরের মহাসীন ডিগ্রী কলেজ মাঠের জনসভায় সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নে ১১টি বিষয়ে ঘোষণা দিলেও নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণ, ভোমরা স্থল বন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে চালু, সাতক্ষীরায় পর্যটনের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গত ১৪ বছরে বাস্তবায়ন হয়নি। জেলার জলাবদ্ধতা নিরসন ও নদী ভাঙন রোধে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও সমস্যার গভীরে যেয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ না করায় প্রকল্পগুলোর আশানুরূপ সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।এমতাবস্তায় জেলার সংসদ সদস্যগণ এক টেবিলে বসে প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে সমন্বিতভাবে কাজ করলে উন্নয়নের গতি তরান্বিত হবে।
একই সাথে তাদের প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার জেলা শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আহবান জানানো হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)