তালায় পৈতৃক জমিতে ঘর নির্মানে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ

ইমরান হোসেন: তালার শাহাপুর গ্রামে পৈতৃক ৬০-থেকে৭০ বছর ধরে দখলীকৃত জমিতে ঘর করতে বাধা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। জমিজমা নিয়ে স্থানীয় ভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালিশ করলেও মানতে রাজি নয় প্রতিপক্ষ।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, পৈতৃক সম্পতি ৬০-থেকে৭০ বছর ধরে ভোগ দখল করছেন ছইলদ্দীন মোল্লা পুত্র ওবাইদুল মোল্লা ও পোতা ইমরান হোসেন বিশাল। জমিতে ঘর করতে আসলে হঠাৎ বাঁধা প্রদান করেন মৃত জয়নদ্দীন মোল্লা পুত্র রফিকুল মোল্লা ও মোবারেক মোল্লা। তবে ঐ জমির পরিবর্তে তার পাশের জমি ভোগ দখলী করে তারা।ভুক্তভোগী ছইলদ্দীন মোল্লা জানান, আমরা তিন ভাই, পিতা মারা যাওয়ার পর আমার বড় ভাই মৃত জয়নদ্দীন মোল্লা রাস্তার ধারে খানা ও গর্তের জমিটি আমাকে ভাগ করে দেই। আমি দীর্ঘ ৭০ বছর মত জমিটি করছি। অনেক টাকা খরচ করে খানাটি মাটি দিয়ে ভরাট করি। গতকাল ৩ মে ঘর আমার পোতা ঘর করতে আসলে রফিকুল মোল্লা ও মোবারেক মোল্লা তালা থানায় অভিযোগ করছে যে আমি নাকি জোর করে দখল করে খাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার জমিজমা নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার সালিশ করে আমার পক্ষে রায় দিয়েছে তবে তারা মানতে রাজি নয়।
ভুক্তভোগী ওবায়দুল মোল্লা জানান, আমার চাচাতো ভাই রফিকুল একজন ভূমিদস্যু, বিভিন্ন মানুষের জমি জবরদখল করছে এবং জেলও খেটেছে। আমার মামাতো ভাই এনায়েট গাজীর পরিবারকে নিশ্ব করে দিয়েছে। আমরা এই ভূমি দস্যুর কাজ থেকে রক্ষা চাই। সে সব সময় আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে চলেছে। তালার ফায়ার সার্ভিসের জমি দেওয়ার কারনে আমার প্রতিবন্ধি পিতাকে মেরে রক্তান্ত জখম করেছে। স্থানীয় কাদের খা ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম খা বুদু জানান, আমার ছোট বেলা থেকে দেখছি এই জমি ছইলদ্দীন মোল্লা করে। এখানে বিশাল বড় খানা ছিলো, তেমন কিছুই হতো না। খানা বুজানোর পরে ঘর করতে আসলে হঠাৎ বাধা দিয়েছে। আমারা চাই এটার একটা সমাধান হোক। ইমরান হোসেন বিশাল জানান, আমারদের জমির পাশের জমিটি তারা করেছে।আমাদের জমিটি রাস্তায় পাশে থাকায় জমির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এজন্য তারা বাধা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল মোল্লা জানান, পৈতৃক সুত্রে ওই দাগে আমি জমি পাব এজন্য বাঁধা দিয়েছি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)