সিঙ্গাপুরে ছিঁড়ে যাওয়া সাবমেরিন ক্যাবল জোড়া লাগবে মে মাসের শেষে
ডেস্ক নিউজ:
কুয়াকাটায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিইউ-৫ এর সিঙ্গাপুর প্রান্তের ব্যান্ডউইথ আগামী মে মাসের শেষে জোড়া লাগবে। এর আগ পর্যন্ত কক্সবাজারে অবস্থিত ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৪ এর মাধ্যমে ১৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সেবা চালুর রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান।
তিনি জানান, গত ১৯ এপ্রিল রাত ১২টায় বিএসসিপিএলসির আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি সিমিইউ-৫ সিঙ্গাপুর থেকে পশ্চিম প্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিমিইউ-৫ কনসোর্টিয়াম ইন্দোনেশিয়ায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল মেরামতের জন্য এরই মধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সাইদুর রহমান জানান, কনসোর্টিয়ামের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ইন্দোনেশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী মে মাসের শেষ সপ্তাহে ক্যাবলটির রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন হবে। তবে এসময় সিসিইউ-৫ এর মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হওয়া প্রায় ১৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সিসিইউ-৪ ক্যাবলে স্থানান্তর করার জন্য বিএসসিপিএলসি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
গ্রাহকরা যেন বিএসসিপিএলসির মাধ্যমে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চাহিদা মোতাবেক তাদের সার্কিটগুলোর সংযোগ চালু করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অবশ্য নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি পক্ষ থেকে আগেই দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) সিমিউই-৪ এবং সিমিউই-৫ নামের দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামের (কোম্পানি) সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে। বর্তমানে সিমিউই-৪ এবং সিমিউই-৫ কেবল দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে। সিমিউই-৪ এর জন্য বিএসসিসিএলের ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে কক্সবাজারে। আর সিমিউই-৫ এর জন্য বিএসসিসিএলের ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে।