মামলার আসামী গ্রেফতার হওয়ায় গভীর রাতে  বাদীর বসতভিটায় আগুন দিলো দূর্বৃত্তরা 

মাসুদ আলী : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ফিংড়ী ইউনিয়নের ফয়জুল্লাপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে   গভীর রাতে অসহায় পরিবারের গোয়ালঘর, ফলজ গাছ আগুন দিয়ে  পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ২৬ এপ্রিল  শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে  ঘটে। সরেজমিনে ঘটনা স্থলে যেয়ে জানা যায়, ফিংড়ী ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের আলেয়া খাতুন  ২৫ থেকে ২৬ বছর আগে ক্রয়কৃত জমিতে তার স্বামী গোলাম মোস্তফা  ও সন্তানদের নিয়ে  বসবাস করে আসছে। কিন্তু গত ২৩ শে এপ্রিল দুপুর ১ টার দিকে উত্তর  ফিংড়ী গ্রামের মৃত নুর আলী সরদারের পুত্র সাত্তার শেখ, মৃত নাজের শেখের পুত্র গোলাম শেখ,মৃত বনমালী শেখের পুত্র মো. শহিদুল ইসলাম, গোলাম শেখের পুত্র সিরাজ শেখ, ফিংড়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামায়াতনেতা মাহফুজ সরদারসহ ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী  আলেয়া খাতুনকে প্রকাশ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় বাড়ি হতে দড়ি দিয়ে বেধে বিলের মধ্য দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যায়  ও তার পিতা মুসা আলীকে  মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে সাত্তার শেখের উত্তর ফিংড়ীর বাড়িতে আটকে রেখে ব্যাপক মারপিট করতে থাকে। খবর পেয়ে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ মোল্লা ও  গ্রাম পুলিশের সহায়তায় সাত্তার শেখের বাড়ি থেকে তাদেরকে
উদ্ধার করে  সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।  এঘটনায় ভুক্তভোগী আলেয়া খাতুনের ভাই মোমিনুর রহমান বাদী হয়ে তাদের নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনায় তদন্ত পূর্বক সত্যতা পেয়ে সদর থানা পুলিশ ৫ নং আসামী গোলাম শেখের পুত্র মো. রফিকুল ইসলামকে ২৬ এপ্রিল
শুক্রবার দিবাগত রাতে আটক করে। আটকের জের ধরে  ওই গভীর রাতে ফিংড়ী গ্রামের মৃত নুর আলী সরদারের পুত্র সাত্তার শেখ, মৃত নাজের শেখের পুত্র গোলাম শেখ,মৃত বনমালী শেখের পুত্র মো. শহিদুল ইসলাম, গোলাম শেখের পুত্র সিরাজ শেখসহ ১৫/২০ জন সংবদ্ধচক্র দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আলেয়া খাতুনের গোয়াল ঘর, বেড়া, ফলজ গাছে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আলেয়া খাতুন বলেন, আগুন ধরিয়ে দিয়েই তারা খ্যান্ত হয়নি, বর্তমানে তারা দা, রড হাতে নিয়ে আমার বাড়ির আশেপাশে  মহড়া দিচ্ছে ও আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। মারধরের স্বীকার আলেয়া খাতুনের পিতা মুসা আলী সরদার এ প্রতিবেদককে জানান, ফিল্ম স্টাইলে সাত্তারের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী আমাকে ও আমার কন্যাকে  উঠিয়ে নিয়ে সাত্তারের বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে। এ ঘটনায়  আমার ছেলে মামলা করে কিন্তু সাত্তার ও তার লোকজন মামলা তুলে নিতে  হুমকি ধামকি দিচ্ছে । কিন্তু আমরা মামলা প্রত্যাহার না করায় রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে সব। এমতবস্থায় পরিবারটি   চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে। তাদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের  আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারটি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মাহফুজ বলেন, এঘটনায় আমি জড়িত নেই বরং আটকে রাখা আলেয়া খাতুন ও মুসা আলীকে আমি সাত্তার শেখের বাড়ি হতে নিরাপদে  ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি ।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)