প্রাণ প্রাণসায়ের খালের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি:পঁচে দুর্গন্ধ ছাড়াচ্ছে সাতক্ষীরা প্রাণসায়ের খালের পানি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ প্রাণ সায়ের খানের দুপাড় দিয়ে চলাচল করে। খালের পশ্চিম পাড়ের রাস্তা দিয়ে সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হয় শতাধিক নারী-পুরুষ। ফলে সাতক্ষীরার প্রাণ প্রাণসায়ের খালের পানি পঁচে গিয়ে পৌরবাসীর মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে দাঁড়িয়েছে । পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে জেয়ার-ভাটা বন্ধ থাকায় প্রাণসায়ের খালের এমন অবস্থা।এবার পৌরবাসির দুর্দশার কথা ভেবে প্রাণ সায়ের খালের ময়লা আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। সোরবার (২২ এপ্রিল) সকালে শহরের পাকাপুল ব্রিজ এলাকা থেকে একার্যক্রম শুরু হয়েছে।সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এ প্রণসায়ের খালে যাতে দ্রুত জোয়ার ভাটা সৃষ্টি হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। জেয়ার-ভাটা না হওয়ায় প্রাণসায়ের খালের দূরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশের আজ সকাল থেকে আমরা প্রাণসায়ের খালের ময়লা আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। য়ারভাটা সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রমে অব্যহত থাকবে ।

উল্লেখ্য: সাতক্ষীরা শহরের একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৮৫০ সালের দিকে সাতক্ষীরার জমিদার প্রাণনাথ রায় চৌধুরী নদীপথে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা ও শহরের শ্রীবৃদ্ধির জন্য একটি খাল খনন করেন। মরিচ্চাপ নদের সঙ্গে বেতনা নদীর সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য এ খালটি খনন করা হয়। এল্লারচর থেকে খেজুরডাঙ্গী পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার লম্বা খনন করা খালটি জমিদার প্রাণনাথ রায় চৌধুরীর নাম অনুসারে প্রাণসায়ের খাল হিসেবে পরিচিতি পায়। সাতক্ষীরা শহরের বুক চিরে উত্তর-দক্ষিণে বয়ে যাওয়া খালটি একসময় শহরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছিল। খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এ খাল। এর মাধ্যমে সহজ হয়ে উঠেছিল জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগও।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)