কালিগজ্ঞে পশু ডাক্তার আজিজুর জাকিরের বিরুদ্ধে অপচিকিংসার অভিযোগ
এস কে কামরুল হাসান : সরকারি পশু ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্পে এ আই টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করেন আজিজুর রহমান ও জাকির । নিজস্ব প্যাডে সীল স্বাক্ষর করে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় পশুদের অপচিকিৎসা দিয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিয়ম তোয়াক্কা না করে উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আস্থাশীল পরিচয় দিয়ে পশু দেহে মারাত্মক ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসা পত্রে। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কেউ কিছু বললে সে সার্টিফিকেট ধারী বড় প্রকল্পে দায়িত্ব আছে পরিচয় দেয় । তার চিকিৎসা কখনো ভূল হয় না। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির দীর্ঘদিন দাপট দেখিয়ে অনান্য পশু চিকিৎসকদের কোণঠাসা করে রাখে।
ভুক্তভোগী এক মহিলা বলেন, সরকারি প্রকল্পে চাকরি করে জাকিরের কাছ থেকে গরু,ছাগলের চিকিৎসা করায়।সরকারি ডাক্তার পরিচয় দেয়। কিন্তু তিনি অনেক জায়গায় ভূল চিকিৎসায় গরু অসুস্থ হতে দেখেছি।
আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, ওনি গরু অসুস্থ হলে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দেয়। এন্টিবায়োটিকের প্রভাবে গরুর সমস্যা হয় বললে। ওনি জবাবে বলে সরকারি জেলা কর্মকর্তারা আমার চিকিৎসা জানে তার যেভাবে চিকিৎসা দিতে বলে সেইভাবে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দেয় আমি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শংকর কুমার দে বলেন, তাদের চিকিৎসাপত্রে এন্টিবায়োটিক লেখার এখতিয়ার নাই, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী। তাদের এই ধরনের অপচিকিৎসা আমি অনুমতি দেয় নাই এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির আমার নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি ভেটোনারি রেজিষ্টার্ড প্রাপ্ত ছাড়া এন্টিবায়োটিক লেখার এখতিয়ার নেই। আজিজুর ও জাকির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলে প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বলেন এগুলো ভূয়া তারা আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলে। তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিব।
অভিযুক্ত কালিগঞ্জে এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব বলেন, আমি জেলা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছে আপনি যা খুশি করতে পারেন। তারা আমার রক্ষা করবে।
আরেক অভিযুক্ত জাকির বলেন,আমি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন।
এভাবে অভিজ্ঞতাবিহীন অপচিকিৎসার কারণে কালিগঞ্জে পশুদের রোগব্যাধী বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে গরু,ছাগল মারা যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা এসকল অপচিকিৎসাদের বিরুদ্ধে কথা বলে ও কোন প্রতিকার পাইনি বলে অভিযোগ করেছে।