ঘর থেকে পোকামাকড় দূর করার সহজ কিছু উপায়
লািইফস্টাইল ডেস্ক: পোকামাকড়ের উপদ্রব হলে ঘর অপরিষ্কার হয়। তাছাড়া খাবারও নষ্ট করে ফেলে এরা। তবে কিছু উপায় কাজে লাগিয়ে সহজে ঘর থেকে পোকামাকড় দূর করা সম্ভব।
আর তাই চলুন জেনে নিই সেই সব সহজ উপায়গুলো
তেলাপোকা: রান্নাঘর অপরিষ্কার থাকলে, নোংরা কনটেইনার বা ঝুড়ি ঘরে পড়ে থাকলে, মেঝে অপরিষ্কার থাকলে তেলাপোকার উপদ্রব বেড়ে যায়। যেখানে তেলাপোকা বেশি জন্মে সেখানে লেবুর রস ছিটিয়ে দিতে হবে। তেলাপোকা ধ্বংস করতে লেবুর রস অত্যন্ত কার্যকরী।ইঁদুর তাড়াবেন যেভাবে: ইঁদুর তাড়ানোর জন্য প্রথমেই চিহ্নিত করতে হবে ইঁদুর চলাচলের রাস্তা। কারণ ইঁদুর সাধারণত একইপথে চলাচল করে। পাউরুটির সঙ্গে জিঙ্ক ফসফাইড মিশিয়ে ইঁদুর ঢোকার পথে রেখে দিন রাতের বেলা। পাউরুটি খেলেই ইঁদুর মারা যাবে।তবে বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে ইঁদুর তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সবার আগে ওষুধ দেওয়া পাউরুটি ফেলে দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পাউরুটি পরেরদিনের জন্য রেখে দেওয়া যাবে না।পিঁপড়া: পিঁপড়ার উপদ্রব খুবই অসহ্য লাগে। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবারে হরহামেশা পিঁপড়া ধরলে বিরক্ত লাগারই কথা। পিঁপড়া দূর করতে বেবি পাউডার কার্যকর। পিঁপড়ার সারিতে বেবি পাউডার ছিটিয়ে দিন। এছাড়া কেরোসিন দিলেও ভালো কাজ দেবে। কেরোসিনের গন্ধ পিঁপড়া সহ্য করতে পারে না।পিঁপড়ার সারিতে রাতের বেলা কেরোসিন বা বেবি পাউডার ছিটিয়ে দিতে পারেন। টেবিলের খাবারগুলো জলকান্দার ওপর রাখলে পিঁপড়া আক্রমণ করতে পারে না।মাছি: গরম আসছে। গরমে মাছির উপদ্রব বেশি হয়। মাছি তাড়ানোর জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার বিকল্প নেই। এছাড়া ইলেকট্রিক ব্যাট ব্যবহার করতে পারেন। পানির সঙ্গে ফিনাইল মিশিয়ে নিয়মিত ঘর মুছতে হবে। প্রতিবেলা খাওয়ার পর খাবার টেবিল পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
খাবারে মাছি পড়লে নানা ধরনের পেটের অসুখ হতে পারে। তাই খাবার সবসময় ঢেকে রাখতে হবে।মশা: বাসায় ফুলের টব বা অন্য কোথাও পানি জমে থাকলে মশার প্রকোপ বাড়ে। সন্ধ্যা নামার কিছুক্ষণ আগে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিতে হবে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে জানালা খুলে দিতে হবে। ঘরে স্যাঁতস্যাতে ভাব থাকলে মশা বেশি হয়।
পোকামাকড় দূর করতে বাসা ও বাসার চারপাশ পরিষ্কার রাখা জরুরি। বাসা অপরিষ্কার থাকলে পোকামাকড় কখনই দূর হবে না।শেষে জরুরি একটি কথা, মশার স্প্রে ব্যবহারের সময় নাক ডেকে রাখতে হবে। অন্তত ২০ মিনিট ঘরে না ঢোকাই ভালো।