ইরানে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলা হতে পারে ‘আসন্ন’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের প্রতিশোধমূলক আক্রমণের পর ইসরায়েলের পাল্টা প্রতিক্রিয়া ‘আসন্ন’ হতে পারে। বঅজ্ঞাত এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ। ওই কর্মকর্তা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে এনবিসি নিউজের সাথে কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সরকার বিশ্বাস করে- ইরানের চালানো নজিরবিহীন এই আক্রমণের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রিসভার বৈঠকে কূটনৈতিক ও সামরিক প্রতিক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা বলেছেন, যেকোনো প্রতিক্রিয়া আমেরিকানদের সাথে সমন্বয় করে করা হবে।
সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনার আরো বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।
মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়। তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রবাহিনী।
এদিকে ইরানের নিক্ষিপ্ত প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্রই আটকে দেওয়ার কারণে প্রতিশোধমূলক এই আক্রমণকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এবং ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের জন্য একটি বিব্রতকর ব্যর্থতা বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়াটা ছিল ‘প্রয়োজনীয় এবং উপযুক্ত’। ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। অবশ্য ইসরায়েল ইরানি এই হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।