আঙুরে আছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
আঙুর এক প্রকারের ফল; যা লতা জাতীয় দ্রাক্ষালতা গাছে ফলে থাকে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Vitis vinifera। দ্রাক্ষালতা গাছটি Vitaceae পরিবারের অন্তর্গত। একই থোকায় ৬ হতে ৩০০টি পর্যন্ত আঙুর ধরে থাকে। আঙুরের রং কালো, নীল, সোনালি, সবুজ, বেগুনি-লাল বা সাদা হতে পারে।
পাকা আঙুর সরাসরি খাওয়া হয়। এটি দিয়ে রস, জেলি, আঙুর-বীজের তেলও তৈরি করা হয়। আঙুরকে শুকিয়ে কিশমিশ তৈরি করা হয়। আঙুর চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় মার্চ-এপ্রিল মাস। আঙুর চাষের জন্য মাটি হতে হবে, দো-আঁশযুক্ত লালমাটি, জৈবিক সার সমৃদ্ধ কাঁকর জাতীয় মাটি।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের উষ্ণ আবহাওয়ায় আঙুরের চাষ হলেও বাংলাদেশে এখনো আঙুর চাষে সফল হতে পারেনি। আঙুর সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের মাটি ও আবহাওয়া জন্মাতে পারে। আঙুর বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পুষ্টিগুণ:
আঙুরে প্রচুর পুষ্টি উপাদান আছে। এতে প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, ক্যালসিয়াম, ফরফরাস, লৌহ, খনিজ, পটাশিয়াম, থিয়ামিন, রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন-এ, বি, সি উপাদান রয়েছে৷ তাছাড়া প্রতি কেজি আঙুর থেকে প্রায় ৪৫০ ক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। আঙুর শুকিয়ে সাধারণত তৈরি হয় কিশমিশ এবং কিশমিশে রয়েছে ৬০ শতাংশ ফ্রুকটোজ।
উপকারিতা:
১. নিয়মিত আঙুর জুস করে খেলে ক্যান্সার নিরাময় হয়ে থাকে।
২. আঙুরের মধ্যে থাকা ফাইটো কেমিক্যাল ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট আমাদের ত্বকের সুরক্ষিত রাখে।
৩. নিয়মিত আঙুর খেলে শরীরে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ হয়।
৪. নিয়মিত আঙুর খেলে কিডনি ভালো থাকে।
৫. আঙুরের উপাদানগুলো স্তন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বিরুদ্ধে কাজ করতে পুরোপুরি সক্ষম।
৬. আঙুরের রস চুলে মাখলে চুল ভালো হয় এবং চুলের খুশকি দূর হয়।
৭. আঙুর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৮. মাথাব্যথা আঙুর খেলে আরাম উপকার পাওয়া যায় ।
৯. আঙুর আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন ও হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
১০. আঙুর নিয়মিত খেলে অ্যাজমা প্রতিরোধ ভালো হয়।
১১. বদহজম হলে আঙুরের রস খেয়েই দেখুন না উপকার পাবেন।
১২. আঙুর খেলে চোখের সমস্যা ভালো হয়।