সবচেয়ে বড় আকারে অস্ত্র উৎপাদনে রাশিয়া, সহায়তায় চীন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের সহায়তায় সোভিয়েত যুগের পর সবচেয়ে বড় আকারে অস্ত্রশস্ত্র উৎপাদন করছে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে শুক্রবার এমনটি জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলো চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে। এই সপ্তাহের শেষেই বেইজিং সফরে যাচ্ছেন ওলাফ শলৎজ। আর পরবর্তী সপ্তাহে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইতালিতে বৈঠকে বসবেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীন যৌথভাবে রাশিয়াকে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করছে। সেই সঙ্গে মহাকাশে রাশিয়ার অবস্থান জোরদার করতেও কাজ করছে চীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভুগছিল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্প। সেটিকে দাঁড় করানোর জন্য মূল ভূমিকা রেখেছে চীন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়া সোভিয়েত যুগের পর থেকে সবচেয়ে বড় আকারে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করছে। যুদ্ধ শুরুর পর আমরা যেমনটি ধারণা করেছিলাম, তার চেয়ে দ্রুত এটি করা হচ্ছে। ইউক্রেনকে সমর্থনে এখন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা করতে হবে তা হলো রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারণে সাহায্য বন্ধ করতে চীনকে রাজি করানো।
চীনের সহায়তা ছাড়া রাশিয়া যুদ্ধ চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে বলেও মনে করেন এই মার্কিন কর্মকর্তা।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একাধিকবার রাশিয়াকে সহায়তা না করতে চীনকে সতর্ক করা হয়েছিল।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ান মিত্রদের প্রাথমিক বিপর্যয়ের পরে উদ্বিগ্ন চীন এমন অস্ত্র উৎপাদনে এমন উপাদান পাঠাচ্ছে যা বেসামরিক কাজেও ব্যবহৃত পারে।
মার্কিন প্রশাসনের আশা, ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়াকে অস্ত্রশস্ত্র উৎপাদনে সহায়তা না করতে চীনকে রাজি করাতে পারে। কারণ তাদের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ব্যাপক।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে ইতালিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীন সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন।