মনসা গাছের ঔষধিগুণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মনসা গাছ একটি শাখা- প্রশাখাবিহীন গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Euphorbia neriifolia। এটি ইউফরবিয়া গণের অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশে প্রায় সব এলাকাতে মনসা গাছ দেখতে পাওয়া যায়। বাংলায় মনসা গাছকে দেবীরূপে পূজা করা হয়। এই গাছ বেশি উঁচু ও ডালপালাযুক্ত হয় না। মনসা গাছের গায়ে ও ডালে ছোট ছোট অসংখ্য কাঁটা হয়। যে মনসা গাছে বেশি ঘন কাঁটা থাকে সে গাছের আঠাই বেশি ভেষজ গুণ সম্পন্ন হয়।
এ গাছ কাটলে বা এর পাতা কাটলে বা এর পাতা ভাঙলে দুধের মতো সাদা আঠা বেরুতে থাকে। শিগিগিরই এই আঠা শুকিয়ে যায়। বসন্তকালে হলুদ রঙের ছোট ছোট ফুল হয়। আবার এ বসন্ত ঋতুর শুরুতেই গাছে ছুরি বা কাটারি দিয়ে আঘাত করে তরুক্ষরি সংগ্রহ করা হয়।
মনসা গাছের মূল, কাণ্ড, পাতা ও শুকনো আঠা নানা রকম ঔষধরূপে ব্যবহার করা হয়। এখন মনসা গাছের বিভিন্ন ঔষধি গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানব-
ঔষধি গুণাগুণ ও উপকারিতা
১। মেয়েদের মাথার চুল অনেক সময় লাল বর্ণ ধারণ করলে মনসা গাছের আঠা দিয়ে তেল তৈরি করে মাথায় মাখলে উপকার পাওয়া যায়।
২। প্রমেহ রোগের আর্বিভাব হলে বাতাসার মধ্যে মনসা গাছের আঠা দিয়ে সেবন করলে প্রমেহ রোগ ভালো হয়।
৩। মনসা গাছের কান্ড কয়েক টুকরো করে পানিতে সিদ্ধ করে এই ক্বাথ সরিষার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে একজিমায় প্রলেপ দিলে একজিমা ভালো হয়।
৪। হুপিং কাশি হলে মনসা গাছের পাতা আগুনে সেঁকে নিয়ে হাতে পিষে রস করে লবন বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করলে হুপিং কাশি কমে যায়।
৫। মনসা গাছের আঠা দিয়ে তৈরি তেল মাথার টাকে লাগালে টাক সেরে যায়।
৬। মনসা গাছ এর গোড়ার অংশ টুকরো টুকরো করে কেটে পুড়িয়ে নিতে হবে। মনসার আঠা সহযোগে পুনরায় পুড়িয়ে মলম তৈরি করে লাগালে অর্শ্ব রোগ উপশম হয়।
৭। মনসার পাতার কাজল তৈরি করে তা শিশুদের চোখে লাগালে চোখে পিচুই পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।