বিশ্বকাপ দলেই জায়গা হারানোর পথে পান্ডিয়া
স্পোর্টস ডেস্ক:
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়াকেই বেছে নিচ্ছিলেন অনেকেই। বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা নিয়মিত টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ওদিকে পান্ডিয়াও অধিনায়কত্ব পেয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিচ্ছিলেন । যতটা না পারফরম্যান্সে, তার চেয়েও বেশি বড় বড় বুলিতে।
রোহিতক বাদ দিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এত ঝামেলা করে পান্ডিয়াকে অধিনায়ক বানানোর পেছনেও এর প্রভাব ছিল। ভবিষ্যৎ ভারত অধিনায়ককে নিজেদের অধিনায়ক হিসেবে পাওয়াটা মুম্বাইয়ের ব্র্যান্ড ইমেজের জন্য দরকার ছিল। সেই পান্ডিয়া এখন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকবেন কিনা, এ নিয়ে সন্দেহ জাগছে।
সাবেক পেসার ভেংকটেশ প্রসাদ তাঁর সাবেক সতীর্থ ও বর্তমান প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকারকে একটি বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, আইপিএলের বর্তমান ফর্ম বিবেচনা করে বিশ্বকাপের দলে পান্ডিয়াকে না রাখতে।
আইপিএল পারফর্ম করার জন্য ক্রিকেটারদের আলাদা করে বলার কিছু নেই। ভালো পারফরম্যান্স মানেই ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে বাড়তি খাতির অথবা পরবর্তী নিলামে বাড়তি আয়ের সুযোগ। এবার সে সঙ্গে যোগ হয়েছে বিশ্বকাপ দলে থাকার ইচ্ছাও। জাতীয় দলের আশপাশে থাকা অনেক ক্রিকেটারই বিশ্বকাপ দলে ঢোকার শেষ সুযোগ হিসেবে এবার শুরু থেকেই আইপিএলে দারুণ করছেন।
এতদিন ভারত দলে পান্ডিয়ার জায়গা পাকা বলেই ধরে নেওয়া হতো, কারণ ভারতে স্পিনিং অলরাউন্ডারের অভাব না থাকলেও পেস বোলিং অলরাউন্ডার খুব একটা নেই। কিন্তু শিবম দুবের উত্থান পান্ডিয়াকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে। চেন্নাই সুপার কিংস তাঁকে শুধু ব্যাটিংয়ে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নামাচ্ছে। ১৬০ স্ট্রাইকরেটে ১৭৬ রান করে নিজের দায়িত্ব দারুণভাবে পালন করছেন দুবে।
প্রসাদ তাই টুইট করে ভারত একাদশে দুবের জন্য জায়গা ফাঁকা করতে বলেছেন আগারকারকে, ‘স্পিনারদের বিপক্ষে মারার ক্ষমতার জন্য শিবম দুবে, সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসেবে সূর্যকুমার এবং অবিশ্বাস্য ফিনিশিং ক্ষমতার জন্য রিঙ্কু সিং। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই তিনজনকে একাদশে রাখার উপায় পেলে ভারতের জন্য দারুণ হবে। এদের সঙ্গে বিরাট ও রোহিত থাকলে শুধু উইকেটকিপারের জন্য জায়গা থাকছে। কে সে জায়গাটা পায়, সেটা একটা কৌতুহলোদ্দীপক প্রসঙ্গ।’
এই মাসের শেষে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারণ ১ মের মধ্যে বিশ্বকাপের দল ঘোষণার জন্য সময় বেধে দিয়েছে আইসিসি, তবে ২৫ মে পর্যন্ত স্কোয়াডে একটি পরিবর্তন করতে পারবে দলগুলো।