প্রেমের টানে বাংলাদেশে ভারতীয় যুবক,পালালেন প্রেমিকা

ডেস্ক নিউজ:
প্রেমের টানে ঝালকাঠিতে প্রেমিকার বাড়ি এসেছেন ভারতীয় যুবক ইমরান। কিন্তু তার আসার খবর শুনে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিকা। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দী এলাকার ইমাদুল হাওলাদারে বাড়িতে আসেন ইমরান নামে ওই যুবক। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশ কানপুর এলাকার ছেলে। তাকে একনজর দেখতে বিকেল থেকেই ওই বাড়িতে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন।

জানা গেছে, ইমরানের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ইমাদুল হাওলাদারের মেয়ে ফারজানার। দুই বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে ইমরান বিভিন্ন সময় ফারজানার কাছে টাকা পাঠাতেন এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে পোশাক পাঠাতেন। এবার প্রেমিকাকে দেখতে ভারত থেকে ছুটে আসেন ইমরান। কিন্তু ইমরানের আসার খবর শুনে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন ফারজানা। এদিকে যুবকটির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয় ফারজানার পরিবারও। কোনো উপায় না পেয়ে পরে ফিরে যান তিনি।

ইমরান বলেন, ফারাজানার ছোট খালা এবং আমি সৌদিতে এক মালিকের অধীনে চাকরি করেছি। সেই সুবাদে ফারাজানার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক শুরু হয়। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ফারাজানার পরিবারের সবাই জানত। তারা আমার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারপর পাসপোর্ট ও ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশে আসি। এখানে আসার পর এখন তারা সবকিছু অস্বীকার করছে। আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এখন বাধ্য হয়ে আবার দেশে ফিরে যাচ্ছি।

ইমরানকে চিনলেও মেয়ের প্রেম ও প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করেন ফারজানার বাবা ইমদাদুল। তিনি বলেন, আমার শ্যালিকা সৌদি আরবে থাকেন। সেখান থেকে ইমরানের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। এরপর আমাদের একটা ভিসা দেওয়ার কথা বলেছিল। আমি তার হিন্দি ভাষা বুঝতে না পারার কারণে আমার মেয়ের সঙ্গে তার কথা হতো। আমার মেয়ের সঙ্গে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। এটা মিথ্যা কথা।

ফারাজানার খালা বলেন, যখন সৌদিতে থাকতাম তখন আমরা একই মালিকের অধীনে কাজ করতাম। একদিন আমার মোবাইল নষ্ট হয়ে গেলে আমি ইমরানের কাছে মোবাইল সারাতে দিয়েছিলাম। কারণ আমি মোবাইলের তেমন কিছু বুঝি না। এরপর সে কীভাবে আমার মোবাইল থেকে আমার ভাগ্নির ছবি নিয়ে যায়। আমি সৌদি থেকে বাংলাদেশ আসার সময় আমি একটা নম্বর দিয়ে এসেছিলাম। তারপর ইমরান ওই নম্বরে একমাস কল দিয়েছিল।

কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। আমার যদি কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)